সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন - ১০

দশম পর্ব

আজ সরকারবাবু কলম ধরলেন ২০১৫ সালের ভুবনেশ্বর থেকে খড়্গপুর জার্নির একটি ঘটনা দিয়ে। ঘটনাটি এফটিআই-এর  বন্ধুদের জানানো ভাল। আসলে সরকারবাবুর শিষ্যের অনেক ফিল্মস্কুলের বন্ধু আছে। তাদের সকলের কথা পরে অন্য কোনোও সময় আসবে। আজ আসছি সেই কথায় যা ওখানের সাথে জড়িত। ২০১৫ এফটিআই-এ আগুন জ্বলছে বলা যায়। স্ট্রাইক। স্ট্রাইক। স্ট্রাইক।

সরকারবাবুর শিষ্য বেচারি কোনোওদিন ওখানে পাও রাখেননি তবে তার সাথীদের দ্যাখে ও কিছুটা ধারনা করেন। তারই ভিত্তিতে উনি এক বিশেষে মানুষকে বলেছিলেন - এটা আপনারা ঠিক করেননি। ওই চেয়ারটা সকলের জন্য নয়। আপনারা বুঝে নিন ওই চেয়ারটি বলতে কোন চেয়ারের কথা বলেছিলেন। অবশ্যি জেনে বলেননি মানুষটি কে। অনেক পরে বুঝেছিলেন মানুষটি কে ! উনি প্রায়ই নিউজে আসেন। তাও চিনতে পারেননি।  আসলে মানুষটি গুটিকয়েক মানুষ সাথে নিয়ে ট্রেণ-এ দিল্লি যাবেন এটা আশা করতে পারেননি।
ভদ্রলোক শিষ্যের নাম্বারটি শুধু উনার কাছ থেকে নিয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতি নানান ঘটনার। সে যাইহোক উনি নিজে না চাইলে নামটা দিতে পারিনা। শুধু এটুকু শিষ্য বুঝেছে ব্লগটি নানান স্তরের মানুষ চোখ বুলিয়ে দেখেন। কারন সোজা কথা সোজা (ঘুরিয়ে!) বলার জন্য।
তাই আজ বাচ্চাগুলোকে বলছি - তিন বছর (থুড়ি ছ-সাত বছর) ওখানে কাটিয়ে ডেটা কপির কাজ নেওয়ার থেকে নিজের সিনিয়ারদের এসিস্ট করা ভাল। হয়ত টাকা কম পাওয়া যায়, তবে এডিটরের সম্মান থাকে।
সরকারবাবুর শিষ্য যা সব টেকনিক্যাল পারদর্শীতার নমুনা দেখেছেন উনাদের তা অবাক হবার মতন।  সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটাগুরুকে বারবার পাঠিয়েও শেখানো যায় না।  ওখানের পরিবেশ এতটাই ক্রিয়েটিভ !
একটা ফোন কিছুদিন আগে এক এসিস্টেন্ট-এর কাছ থেকে এসেছিল এটা জানতে চেয়ে একটি নির্দিষ্ট সিনেমায় কত ফুটেজ ছিল। অর্থ উনি ডেটার সাইজ অনুযায়ী চার্জ করবেন বোধহয়।  ধন্য ডিরেকটরিয়্যাল এবিলিটি ও এডিটরের বুদ্ধি!

আজকে এখানেই ইতি করব।  বাকি কথা সরকারবাবু আবার এসে বলবেন।  পরের বার সরকার-বাবু লিখবেন একটা রোগ ও তার সাথে সিনেমার সম্পর্ক নিয়ে।  রোগটির নাম - Cutis Laxa.  দয়া করে কেউ সিনেমা বানিয়ে ফেলবেন না।  আপনাদের সবকিছুতেই দুর্বল প্রেমকাহিনী লেখার স্বভাব আছে।

শেষে একটা ছবি দেব দেখার জন্য - শিষ্য তার  নমু-রানীকে কোথায় বসিয়ে ছবিটা তুলেছিলেন।  দু-বছর ধরে যা ভাতের-ফ্যান রান্না করেছিলেন তাতে সত্যজিতবাবু স্বর্গে বসে অনেক কেঁদে ছিলেন!


কাঠের টুল
আপাতত ওখানেই নমু-রানীকে বসিয়ে রেখেছি। পরে ভেবেচিন্তে জায়গা বদল হবে।

Comments

Popular Posts