ঈশ্বর ও ...... আমি


গত কাল থেকে কি লিখব ঠিক করতে পেরে উঠিনি।  অবশ্য তাতে কারোও কিছুই যাবে আসবে না।  এমন কিছুই পাঠক নেই এই ব্লগের যে পৃথিবী বদলে যাবে। আমি লিখি আমার কারনে একথাটা অনেক পরে বুঝতে পারি।  লিখলে আবেগ বেরিয়ে যায়, শরীর ভাল থাকে, মন ভাল থাকে।  

সে যাই হোক গত কয়েকদিন ধর্মীয় চ্যানেলগুলি বেশ মন দিয়ে দেখা ও বোঝার চেষ্টা করছিলাম।  জানি না সবাই জ্ঞান দিতে ব্যাস্ত হয়েছে কেন, কিন্তু অনেক কিছুই নতুন আবিষ্কার করতে পেরে বেশ ভাল লাগে। এই যেমন মেটাফিজিক্স-এর সেলুলার লেভেল এনার্জি এ্যান্ড হিলিং প্রসেস।  বেশ সুন্দর আর্টিকল পাওয়া যায় গুগুল-এ টাইপ করলেই তা বসে বসে শুনতে বেশ লাগে কোনোও এক বিশেষ যোগী বাবার কাছে।  সংসারের সব রস পান করে এই অমৃতপানের নেশা ও পেশা কবে বন্ধ হবে ঈশ্বর জানেন!!!

আরেক বহেনজির কথা বলা ভাল যিনি বলেন ভারত দেড়শো-দুশো বছর আগে ভারতবর্ষকে বিশেষ উন্নত দেশ হিসাবে মানা হত।  শুধু তাই নয় বিশেষ দুই অঞ্চল সারা বিশ্ব জুড়ে বানিজ্য করত ঐ সময়ে।  এদেশের রাস্তাঘাট অনেক উন্নত ছিল গরুর গাড়ি চলার জন্য।  বহেনজি আপনার মাথার ঠিক আছে তো বলার ইচ্ছে জাগলেও বলে উঠতে পারি না।  কি করে বলি ভারত উন্নত ছিল শিক্ষায়-দীক্ষায়-দর্শনে-মননে-চিন্তনে-জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, কিন্তু তা আপনার ব্যাখার সাথে মেলে না বহেনজি।  এদেশ চিরউন্নতের দেশ।  এখানকার মাটির গুনেই এদেশের সব কিছুই স্বতন্ত্র ছিল-আছে-থাকবে।  আমাদের দেশ কোনোওদিন জড়বাদ ও তার প্রাচুর্যকে প্রাধান্য দেয় নি।  এবার বোধহয় সময় হয়েছে টেলিভিশানের ধর্মীয় শোগুলির গলা টিপে ধরার।

আমরা কবে থামব এই জ্ঞান দেওয়ার প্রথা থেকে।  একটা ছোট্টো কাজ করুন না আপনারা - দেশের ব্রেন ড্রেইন নিয়ে আপনাদের অনেকেরই চিন্তার শেষ নেই।  আমি বলি ব্রেন ড্রেইন নিশ্চয় হচ্ছে নইলে আপনার নতুন শ্রোতা তৈরি হচ্ছে কি করে?  ঐ ড্রেইন দিয়ে আপনিও পালিয়ে যান দেশের বাইরে অন্তত ঐ দেশের মানুষেরা একটু জ্ঞানের ফল পেতে পারে আপনাদের কাছ হতে।

একটা কথা কেন সবাই বোঝে না মানুষের মুখ, চোখ, ত্বক এই তিনটি কখনই মিথ্যে বলে না।  আপনার প্রকৃত মানসিক স্থিতি আপনার সবকিছুর মধ্যেই প্রকাশ পায়। 

কোনোও এক দিদিভাই শুধুই বলে চলেছেন আপনার হাতে কিছুই নেই শুধু আপনি ছাড়া।  নিজেকে দেখুন ও নিজের দিকে তাকান।  ঠিক দিদিভাই আপনি সাদায় নিজেকে ঢেকে ফেলেছেন।  চিন্তার স্বচ্ছতা হারিয়ে ফেলেছেন বলি কি করে আপনিতো চিন্তায় করা বন্ধ করে দিয়েছেন।  সব শিববাবা করছেন! 

দিদিভাই আমরা সবাই এই ধরায় এসেছি এক বিশেষ কাজে একথা অবশ্যই স্বীকার্য, কিন্তু বিনিময়ে কিছুই কি চাহিদা নেই এটা মানা গেল না।  আপনার ভাললাগাটায় তো চাহিদা।  আপনি ভালবাসেন তাই করছেন।  আপনি যাঁর প্রচার করছেন তা আপনারই কাজ, বিনিময়ে আপনি যা পাচ্ছেন তা আপনার প্রাপ্য।  তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বা কম হতে পারে আপনার হিসাবে, যদিও দেশের কেন জগৎ-এর বেশিরভাগ মানুষই প্রয়োজনের তুলনায় কমই পান।  কত মানুষ একবেলা একপেটা খাবার জোটাতে পারে না ভাবলে অবাক হতে হয়!!! 

কোনোও এক বাবা আবার ইনার এঞ্জিনিয়ারিং নাম দিয়ে প্রচার চালান।  সত্যি কি মহান এই দেশ!  আমার মনে হয় এদেশেই সম্ভব ইনার এঞ্জিনিয়ারিং-এর আই আই টি'র পাঠক্রম চালু করার।  স্যরি কেউ এই পাগলের লেখায় গা মাখবেন না।  এসবই পাগলের প্রলাপ।

সব কথার সার - বলার শক্তিই থাকে না যদি ঈশ্বর উপলব্ধি হয়ে থাকে।  সত্যিই যদি কেউ ঈশ্বরে সমর্পিত হন তার পক্ষে কি কথা বলা সম্ভব।  সমর্পনতো শতকরা একশোভাগ দিলে হয়।  একশোভাগ দিলে কোন ভাগ দিয়ে আপনি কথা বলছেন।  আপনিতো একপ্রকার মৃত।

ফিসফিস করে ঈশ্বর বলে ওঠেন - ওরে তখন তো আমি বলি!!!

পাল্টা জবাব দেওয়া আমার স্বভাব।  ঈশ্বরকেই বা ছেড়ে বলি কেন?  তাকেই ফিসফিসিয়ে বলি - ঈশ্বর এক বিশ্বাস।  বিশ্বাসের প্রচারের প্রয়োজন নেইই।  প্লিজ এক টু চুপ থাকার জন্য কি নেবেন?

এই কথাটা সব ধর্মীয় বিজ্ঞাপনের শেষে বলার খুব ইচ্ছে জাগে।  আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী, ধর্ম বিশ্বাসী নই কেন - এই উত্তর অনেক খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছি কিন্তু পাইনি।  ধর্ম-দেশ এই সবগুলিই কি কাল্পনিক নয়?  দেশ কি ঈশ্বরের সৃষ্টি?          



  

Comments

Popular Posts