স্বর্গ মর্ত্য পাতাল
লেখার নানান ডিগ্রি আছে। ফরমায়সি লেখা। ভয় কাটানোর লেখা। ঈশ্বর ও আমি যোগযুক্ত লেখা। এই লেখা সব মেলানোর লেখা। পথ নানান, কেউ কর্ম কেউ ভক্তি কেউ প্রেম বা কেউ শুধুই জ্ঞান। শুনতে অবাক লাগে একে অপরের নিন্দা। সম্পর্কের কাসুন্দি। সকলেই বলে আমি বড়, বিধাতা হাসেন কোনে নির্জনে। এই সেদিন চ্যানেল খুলে বসেছি টিভির, উদ্দেশ্য বেশি কিছু নয় সময় কাটানো। সময় কাটলো তবুও মন মানেনা। চাই নতুন কিছু চাইই চাই। শুরু হলো দেবত্বের অভ্যাস। ফিরে গেলাম সময় পথে কিশোরবেলায়।
বেদের মেয়ে জোতস্না এল। তারপর? সে আর বলি কি - এধার ওধার চারিধারে শুধুই রব। সেইসময় রিলিজ হলো রব নে বানাদি জোড়ি। মারমার কাটকাট ডায়ালগ। আগর দিল সে মাঙো তো পুরি কায়ানাত...... ব্লা ব্লা ব্লা। ভয় একটু কেটেছিল সেইদিন। ধর্মের ভয়, কারন হলে পেয়েছিল প্রথম চুমুর স্বাদ। হে হে হে।
সময় থেমে থাকেনা সেটা বোঝে রব ছেড়ে যাবার পর। রবের ছাড়া লক্ষীছাড়ার মতন। ক্ষ্যাপা খুঁজে ফিরে.....। রাস্তায়-রাস্তায় ফেউফেউ করে ঘোরার আনন্দ জানা যায় ওভাবে। কত মানুষ! নানান ঘটনা। রটনাও নানানরকম। কেউ বাড়িতে এসে বলে যায় আপনার ছেলেটা পাগল হয়ে গেছে। সে ত আর জানেনা জোড়ি বিচ্ছেদ কাহিনী। কাহিনীকার খোদা! রাত্তির হলে পুরোনো স্মৃতি ঘুম ভাঙলে পুরোনো স্মৃতি শেষে স্মৃতিবিভ্রম।
মুখ দিয়ে নাক দিয়ে বাতাস বেরোয়। আরোও বেরোয় নানান জায়গা দিয়ে। এই শব্দমালার ব্যবহার টাইম ল্যাপস বোঝাতে। এক রাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে আলাপ এক সুতনুকার সাথে। ইনিয়েবিনিয়ে নানান কথা। পরদিন। দিনপর। নতুন বেদের মেয়ে! ব্যাস। রাস্তা ছেড়ে পার্ক। থিয়েটার। সিনেমা। হাত ধরাধরি পা জড়াজড়ি আর প্রেম ধর্ম। পরে বদলে সংসার ধর্ম। মেয়ের আগমনে বিচ্ছেদের আগমনী গান। মা-বাপের গৃহ একধারে শ্বশুরগৃহ ওধারে। ছেদ- বিচ্ছেদ। পৌরুষ ধর্ম।
দিন যতই এগোয় অনিশ্চিতের বর্ম চাপতে থাকে ইঞ্চি মাপে বাড়তে থাকে দোদুল্যমান অ-ঈশ্বরবোধ। কাজের চাপ ট্যাঁকের চাপ সাথে আনে উচ্চচাপ রক্তচাপ। এইসব চাপাচাপির শেষে সাংসারিক চাপ। ঘরে বেঘোর অবস্থা। শাশুড়ি - শ্বশুর-পূজো-পাব্বন গিফট। কাজেই বাড়ে বাজারের বিল রেস্তোরার বিল ও শেষে ওষুধের বিল। উপায় - খোঁজ খোঁজ.....
মেডিক্যাল ইন্সিয়োরেন্স, লাইফ ইন্সিয়োরেন্স, অ্যাক্সিডেন্টাল ইন্সিয়োরেন্স ও শেষমেষ জেনারেল ইন্সিয়োরেন্স। সবকিছু থেকে বাঁচতে হবে। খরচা কমাও। অফিসের বস বলেছেন। অ্যাপ্লিকেশান চলছে বাড়িতে। শেষমেষ বছর শেষে দেখি হাতের ফুটো আরোও বড় হয়েছে। জমেছে কম, জাম্প দিয়েছে খরচা! উপায় … বাতলাবেন গুরু। যোগাভ্যাস শুরু। গিন্নি মানে সুতনুকা, বর্তমানে একটু ওজন বাড়িয়েছেন, যাচ্ছেন থপথপিয়ে সাথে লিকপিকে আমি। খাদ্যাভ্যাস বদলে যোগগুরু ডায়েট। হা ঈশ্বর - এখানেও ফাঁদ পেতেছ তুমি ! যোগধর্ম।
এদিকে মেয়ের ভোগধর্ম। কলেজে যাবার সময় হয়েছে। বাহার বেড়েছে। বহর কমেছে। সব দেখি কিন্তু দেখি না। পারফেক্ট গলদঘর্ম। কি করি দুইজনে এককাট্টা হয়ে মলে যেয়ে আমার মল ত্যাগ করিয়ে দেয় যে। বিবি ও বেবি দুইএর চাপের ঠেলা। সব সামলাতে গিয়ে কখন যে লেট হয়ে যায় অফিসের টের পাইনা। এদিকে বসের বাঁশি, ওদিকে বাসের সিটি। হন্তদন্ত হয়ে ঢুকতে গিয়ে বুকের ধারে একটা চিনচিনে যন্ত্রণা অ অ অঁ অঁ… অন্ধকার। মৃত্যু ধর্ম।
এখন আমি ইন্দ্র সকাশে। সপ্ত আকাশ ছাড়িয়ে। সব পারফেক্ট। শুধুই আলো। দূর থেকে মর্ত্তের পাবলিকেরে দেখি আর মজা নিই। স্বর্গবাসী! গরীবের স্বপ্ন।
বেদের মেয়ে জোতস্না এল। তারপর? সে আর বলি কি - এধার ওধার চারিধারে শুধুই রব। সেইসময় রিলিজ হলো রব নে বানাদি জোড়ি। মারমার কাটকাট ডায়ালগ। আগর দিল সে মাঙো তো পুরি কায়ানাত...... ব্লা ব্লা ব্লা। ভয় একটু কেটেছিল সেইদিন। ধর্মের ভয়, কারন হলে পেয়েছিল প্রথম চুমুর স্বাদ। হে হে হে।
সময় থেমে থাকেনা সেটা বোঝে রব ছেড়ে যাবার পর। রবের ছাড়া লক্ষীছাড়ার মতন। ক্ষ্যাপা খুঁজে ফিরে.....। রাস্তায়-রাস্তায় ফেউফেউ করে ঘোরার আনন্দ জানা যায় ওভাবে। কত মানুষ! নানান ঘটনা। রটনাও নানানরকম। কেউ বাড়িতে এসে বলে যায় আপনার ছেলেটা পাগল হয়ে গেছে। সে ত আর জানেনা জোড়ি বিচ্ছেদ কাহিনী। কাহিনীকার খোদা! রাত্তির হলে পুরোনো স্মৃতি ঘুম ভাঙলে পুরোনো স্মৃতি শেষে স্মৃতিবিভ্রম।
মুখ দিয়ে নাক দিয়ে বাতাস বেরোয়। আরোও বেরোয় নানান জায়গা দিয়ে। এই শব্দমালার ব্যবহার টাইম ল্যাপস বোঝাতে। এক রাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে আলাপ এক সুতনুকার সাথে। ইনিয়েবিনিয়ে নানান কথা। পরদিন। দিনপর। নতুন বেদের মেয়ে! ব্যাস। রাস্তা ছেড়ে পার্ক। থিয়েটার। সিনেমা। হাত ধরাধরি পা জড়াজড়ি আর প্রেম ধর্ম। পরে বদলে সংসার ধর্ম। মেয়ের আগমনে বিচ্ছেদের আগমনী গান। মা-বাপের গৃহ একধারে শ্বশুরগৃহ ওধারে। ছেদ- বিচ্ছেদ। পৌরুষ ধর্ম।
দিন যতই এগোয় অনিশ্চিতের বর্ম চাপতে থাকে ইঞ্চি মাপে বাড়তে থাকে দোদুল্যমান অ-ঈশ্বরবোধ। কাজের চাপ ট্যাঁকের চাপ সাথে আনে উচ্চচাপ রক্তচাপ। এইসব চাপাচাপির শেষে সাংসারিক চাপ। ঘরে বেঘোর অবস্থা। শাশুড়ি - শ্বশুর-পূজো-পাব্বন গিফট। কাজেই বাড়ে বাজারের বিল রেস্তোরার বিল ও শেষে ওষুধের বিল। উপায় - খোঁজ খোঁজ.....
মেডিক্যাল ইন্সিয়োরেন্স, লাইফ ইন্সিয়োরেন্স, অ্যাক্সিডেন্টাল ইন্সিয়োরেন্স ও শেষমেষ জেনারেল ইন্সিয়োরেন্স। সবকিছু থেকে বাঁচতে হবে। খরচা কমাও। অফিসের বস বলেছেন। অ্যাপ্লিকেশান চলছে বাড়িতে। শেষমেষ বছর শেষে দেখি হাতের ফুটো আরোও বড় হয়েছে। জমেছে কম, জাম্প দিয়েছে খরচা! উপায় … বাতলাবেন গুরু। যোগাভ্যাস শুরু। গিন্নি মানে সুতনুকা, বর্তমানে একটু ওজন বাড়িয়েছেন, যাচ্ছেন থপথপিয়ে সাথে লিকপিকে আমি। খাদ্যাভ্যাস বদলে যোগগুরু ডায়েট। হা ঈশ্বর - এখানেও ফাঁদ পেতেছ তুমি ! যোগধর্ম।
এদিকে মেয়ের ভোগধর্ম। কলেজে যাবার সময় হয়েছে। বাহার বেড়েছে। বহর কমেছে। সব দেখি কিন্তু দেখি না। পারফেক্ট গলদঘর্ম। কি করি দুইজনে এককাট্টা হয়ে মলে যেয়ে আমার মল ত্যাগ করিয়ে দেয় যে। বিবি ও বেবি দুইএর চাপের ঠেলা। সব সামলাতে গিয়ে কখন যে লেট হয়ে যায় অফিসের টের পাইনা। এদিকে বসের বাঁশি, ওদিকে বাসের সিটি। হন্তদন্ত হয়ে ঢুকতে গিয়ে বুকের ধারে একটা চিনচিনে যন্ত্রণা অ অ অঁ অঁ… অন্ধকার। মৃত্যু ধর্ম।
এখন আমি ইন্দ্র সকাশে। সপ্ত আকাশ ছাড়িয়ে। সব পারফেক্ট। শুধুই আলো। দূর থেকে মর্ত্তের পাবলিকেরে দেখি আর মজা নিই। স্বর্গবাসী! গরীবের স্বপ্ন।
Comments