অলিম্পিক দীপা ও সাক্ষী
গত কয়েকদিন ধরেই ভেতরটা ছটপট করছিল একটা কিছু লেখার তাগিদে। মাথায় ভিড় করছিল বহুকিছু তবুও ধরে রেখেছিলাম কারনটা ছিল আরোও বড় কিছু। আপামর ভারতীয় জনসাধারণের মত আমিও গত ১৪ই অগাস্ট টিভির সেট খুলে বসেছিলাম তীব্র এক আকূতি নিয়ে - বারবার বলেছিলাম - হে ঈশ্বর দিয়ে দিও মেয়েটিকে একটি পদক। নাহ একটু বেশী বলে ফেললাম এতটা এগোইনি তবে একটা ঔৎসুক্য ছিল নিশ্চিত। শুনে অবাক হয়েছিলাম তার সপ্তাহখানেক আগে, কল্পবিজ্ঞানের চরিত্রের মতই দীপা কর্মকার; আমার বাঙালী বলতে আপত্তি আছে তাই বলছি ভারতীয়, সূদুর ত্রিপুরা থেকে — বঞ্চিত রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে অলিম্পিকের ফাইনালে উঠেছে। তারপর তো এক সপ্তাহে আমার চেয়েও বেশি বাঙালী জেনেছেন প্রদুনোভা ভল্ট কি জিনিস !!
অবাক কান্ড এই এক বিশেষ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের, নিজের বানিজ্যের তাগিদে প্রিন্ট ও টেলিভিশান দুই মিডিয়াতেই হওয়ার আগেই হইয়ে দেন যেকাউকে। এতই শক্তিশালী এই গোষ্ঠী যে মূহূর্তে তুলে আকাশে আর মূহূর্তে মাটিতে। ধন্য সেই বানিজ্য গোষ্ঠী!! না জেনেই ক্ষতি করে যান ক্রমাগত বাঙালী সমাজের। কখন যে পিছিয়ে পড়ি আমরা জানতেও পারিনা। শেষমেষ মোটা দাগের এক সেন্টিমেন্ট বয়ে বেড়াই।
আজ সকালে খবর পেলাম সাক্ষী মালিক অলিম্পিক মেডেল জিতল। ব্রোঞ্জ কিন্তু মেডেল। না কোনোও সংবাদপত্রের প্রচার। না কোনোও অতিভাবুক জাতির অতিআবেগী আস্ফালন। মনে পড়ে গেল সক্কাল-সক্কাল একটা কথা - ফুল হঠাৎ করেই ফোটে, সকলের অলক্ষে সকলের আড়ালে। তার গন্ধ নিতে হয় কিন্তু প্রচার করতে নেই। তা আপনি গন্ধ বিস্তার করে। লেখক-বুদ্ধিজীবি-ব্যবসায়ী কারোও প্রয়োজনই পড়েনা। এই কথাগুলো বললাম বলে কেউ যেন ভেবে বসবেন না - বাঙালী বিদ্বেষী।
আপনাদের সকলের মতই আমিও চেয়েছিলাম মেয়েটি পদক জিতুক। অনেক কষ্ট করলে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক রাজ্য থেকে অলিম্পিকের ফাইনালে ওঠা যায়। অনেক শ্রম, অধ্যবসায়, ত্যাগ, আরোও অনেককিছু …
তাই অনুরোধ আপামর বাঙালীর কাছে আবেগ ধরে রাখুন। দীপা কর্মকারকে দীপা কর্মকার হতে দিন। অন্যের অধ্যবসায়কে অন্যের সাধনাকে আপনার সামান্য বানিজ্যিক কারনে বা আপনার অতি-অস্থিরতার কারনে অতি-বাচালতার কারনে থামিয়ে দেবেননা।
অবাক কান্ড এই এক বিশেষ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের, নিজের বানিজ্যের তাগিদে প্রিন্ট ও টেলিভিশান দুই মিডিয়াতেই হওয়ার আগেই হইয়ে দেন যেকাউকে। এতই শক্তিশালী এই গোষ্ঠী যে মূহূর্তে তুলে আকাশে আর মূহূর্তে মাটিতে। ধন্য সেই বানিজ্য গোষ্ঠী!! না জেনেই ক্ষতি করে যান ক্রমাগত বাঙালী সমাজের। কখন যে পিছিয়ে পড়ি আমরা জানতেও পারিনা। শেষমেষ মোটা দাগের এক সেন্টিমেন্ট বয়ে বেড়াই।
আজ সকালে খবর পেলাম সাক্ষী মালিক অলিম্পিক মেডেল জিতল। ব্রোঞ্জ কিন্তু মেডেল। না কোনোও সংবাদপত্রের প্রচার। না কোনোও অতিভাবুক জাতির অতিআবেগী আস্ফালন। মনে পড়ে গেল সক্কাল-সক্কাল একটা কথা - ফুল হঠাৎ করেই ফোটে, সকলের অলক্ষে সকলের আড়ালে। তার গন্ধ নিতে হয় কিন্তু প্রচার করতে নেই। তা আপনি গন্ধ বিস্তার করে। লেখক-বুদ্ধিজীবি-ব্যবসায়ী কারোও প্রয়োজনই পড়েনা। এই কথাগুলো বললাম বলে কেউ যেন ভেবে বসবেন না - বাঙালী বিদ্বেষী।
আপনাদের সকলের মতই আমিও চেয়েছিলাম মেয়েটি পদক জিতুক। অনেক কষ্ট করলে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক রাজ্য থেকে অলিম্পিকের ফাইনালে ওঠা যায়। অনেক শ্রম, অধ্যবসায়, ত্যাগ, আরোও অনেককিছু …
তাই অনুরোধ আপামর বাঙালীর কাছে আবেগ ধরে রাখুন। দীপা কর্মকারকে দীপা কর্মকার হতে দিন। অন্যের অধ্যবসায়কে অন্যের সাধনাকে আপনার সামান্য বানিজ্যিক কারনে বা আপনার অতি-অস্থিরতার কারনে অতি-বাচালতার কারনে থামিয়ে দেবেননা।
Comments