অন্তর্দীক্ষা !
অন্তর্দীক্ষা শব্দটা অহরহ মাথায় আসতো, ভাবতাম সে আবার কি ! সময় এলো যখন জানলাম। অনেককিছুই জানলাম - কেমনে পাগল হওয়া যায় ? কেমনে ভালবাসা যায় ? কেমনে নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া যায়। শুনেছিলাম জ্বলন্ত বাতিই অন্য বাতি জ্বালার অধিকারী। মনে শঙ্কা জাগতো পারবো তো ? গুরু বলতেন পারবোতো পারবোতো করতে-করতেই পার্বতী হয়ে যাবি। তখন বুঝিনি, এখনোও যে সব বুঝেছি তা দাবী করিনা, কিন্তু বুঝেছি অন্তরের ডাক এলে সব সেই করে নেয় অন্যকাউকে দরকার হয়না। গুরু-ঈশ্বর-আলো-অন্ধকার শব্দাবলীর ভেতরে যেয়ে চর্বিত চর্বন করতে আর ইচ্ছে জাগেনা। জাগেনা প্রেরণা আর কর্তা হবার। যদি বল কেন ? আমি বলি জানিনা …
নানান সাংসারিক আবহের মধ্যে থেকে আসা নির্যাস জীবনের রসবোধ বাড়িয়ে দেয়। বলতে চায় বহুকিছু, কিন্তু বলেনা সে কিছুই কারণ জানে বললেই সংসারে বিভেদ আসবে। সাংসারিক আপাত-সুখকর ছবিতে দাগ লাগবে। বোঝা আর বলা তফাৎ অনেক। শুধু তাই নয় বোঝা আর বোঝাতে পারার তফাৎ অনেক তাই চুপ থাকা। জীবনদেবতার ইচ্ছে হলে সেই সব বলে যাবে চুপিচুপি, অন্যকারোও কর্তা হবার প্রয়োজন আছে বলে বোধকরিনা। তাবলে কি কর্তা থাকবেনা ? বড় প্রশ্ন। কর্তাভাব থাকবেনা ? আরোও বড় প্রশ্ন। উত্তর সহজ-সরল …
নিশ্চয় থাকবে। ঈশ্বর যাঁর মধ্যে যতটা রাখতে চান ততটাই থাকে। কথায় আছে - রাখে হরি তো মারে কে! একটা ঘটনা মনে পড়ে যায় - কোনোও এক সময় এক ক্রাইসিসের সময় পা’র তলা থেকে শুধু মাটিই সরেনি, অনেককিছুই সরেছিল, এমনকি ভাবা শুরু করেছিলাম ঈশ্বরও সরে গিয়েছে। কিন্তু না বহুদিন পর বুঝি কিছুই সরেনা শুধুই আমরা নিজেরা সরে যায়। আমরা সরে যায় কিছু সুবিধেভোগী জীবের কাছ থেকে ভাল মানুষের কাছে। ক্রমাগত ভালোর দিকে যেতে যেতে খুঁজে পাই আলো, কেটে যায় অন্ধকার। শেষ করি এই কথা বলে-
এক বন্ধু বলেছিল - জানতে-জানতে জানোয়ার। ভীষণ হাসি পেয়েছিল কথাটা শুনে। সত্যিইতো …. আমি আর কিছু বলিনা। কি হবে বলে? না চাহিলে তারে পাওয়া যায় !!! অন্তর্দীক্ষা !
Comments