শুভ বিজয়া
বেশ কয়েকদিন ধরেই লিখব লিখব করেও লেখা হয়ে ওঠে না। কুঁড়েমি। কারোও কারোও কাছে আমি কুঁড়ের বাদশা। সে যাই হোক একদিন বেশ ভুলে থাকার চেষ্টা করা গেল সব কিছু থেকে সব ভাল-খারাপ থেকে। মনে পড়ছিল ছেলেবেলার দূগগা পূজো, ধুনুচি নাচ, বেলুন খেলা, খাবার ভাল-ভাল। এছাড়াও বিশেষ প্রাপ্তির ভাঁড়ারে থাকে সব বাঙালি বাচ্চাদের - পড়াশুনোর থেকে দূরে থাকা, বকুনির থেকে দূরে থাকা, বিজয়ার চিঠি ব্যাপারটা আমরা সকলেই ভুলে গেছি বোধহয়। বাপি-মা'র সাথে একই ইন্ল্যান্ড লেটারে সকলকে প্রণাম জানানোর এক ব্যাবস্থা যা এখনকার সকলকে প্রাগঐতিহাসিক যুগের সন্ধান দেবে। আমার-আপনার ছেলেমেয়েরা বোধহয় বিশ্বাসই করতে পারবে না এরকমও ছিল।
গতকাল মনে করার অনেক চেষ্টা করলাম বিজয়ার পর ঠিক কি লিখতাম খাতায়। অনেক কসরত করে মাথায় এল " জয় মা দূগগা"। যদি ভুল করে থাকি কেউ শুধরে দিতে পারেন।
আমার ছেলেবেলার শহরে বিজয়ার ভাসানের পর সন্ধেতে শুরু হতো বোম ফাটানোর মেলা। আমি মেলা বলছি কারন বয়স নির্বিশেষে সকলেই ব্যাস্ত হতাম। আমি ছিলাম চিরকালের পাকা সেই ছেলেবেলাতেই শিখেছি চকোলেট বোম, দো-দমা ফাটানোর কারিগরি। পরে সময়ের সাথে শহর বদলেছে, বদলেছে সংস্কৃতি। বিজয়ার সন্ধেই আর বোমা ফাটানো হয় নি, বদলে যায় দিওয়ালি উৎসবে। আর ছিল সকলের সাথে হাতে-হাত ধরে আত্মীয়-বন্ধুর বাড়িতে নানান খাবারের লোভে পা রাখা। নারকেল নাড়ু, ঘুগনি, লুচির আনন্দ!! খাওয়াটা বোধহয় বড় ছিল না, বড় ছিল উৎসাহে ভরপুর প্রাণের আনন্দ সকলে মিলে একসাথে।
গতকাল ছেলেকে নিয়ে অনেকক্ষন ছিলাম প্যান্ডেলে, সে ব্যাস্ত হলো না চেনা আরও দুই বাচ্চার সাথে। ওদের চেনার প্রয়োজন হয় না। সরলতার পুরস্কার!! তিনজনে তিনটি ডোরেমন বেলুন হাতে আনন্দে নেচে লাফিয়ে একাকার। শেষে ছেলের বিদেয় নেবার পালা। অনিচ্ছে সত্বেও ছেলে হাত নেড়ে বাই বলে, যা আরোও বেশি আনন্দ দেয় ছেলে বলে ওঠে বাই আকাশ। বন্ধুত্ব পাতানোর জন্য সময় স্থান গন্ডির প্রয়োজন হয় না কাল শিখলাম। অথচ দুই বাচ্চার বাবা সামনে দাড়িয়ে থাকলেও মানসিক জটিলতার কারনে নিজেরা নিজেদেরকে বাইও বলতে পারি না!
রাত্তিরে বিছানায় শুয়ে শুরু ছেলের প্রশ্ন - পাপা গড আবার কবে আসবে?
ঘুম জড়ানো চোখে জবাব দিই - আসছে বছর আবার আসবে।
ছেলে - কিন্তু তুমি যে বল গড সবসময় কাছেই থাকে।
ঘুম ভাঙা চোখে জবাব দিতে বাধ্য হই - পাপা গড প্যান্ডেলে বছরে একবার আসে, বাকি সময় তোমার কাছেই থাকে।
ছেলে - আমার কাছে? বিস্ময় জাগে ছেলের মনে।
বুকের দিকে ইশারায় দেখায়, বলি- এখানে।
ছেলে চটজলদি জবাব দেয় - কিন্তু তুমি যে বল মাম্মাম ওখানে থাকে।
উত্তর খুঁজি সারাটা রাত, গায়-মাথায় হাত বুলিয়ে কোনোওরকমে ঘুম পাড়িয়ে উঠে যায় ব্যালকনির ঘন আঁধারে। আঁধারেই তো গড বেশি বেশি দেখা দেয়, আঁধারেই তো বিজয়া ফিরে যায়, আঁধারেই তো বিজয়া আলোর দূ্যতি ছড়ায় ফের ভোর হবে বলে।
গতকাল মনে করার অনেক চেষ্টা করলাম বিজয়ার পর ঠিক কি লিখতাম খাতায়। অনেক কসরত করে মাথায় এল " জয় মা দূগগা"। যদি ভুল করে থাকি কেউ শুধরে দিতে পারেন।
আমার ছেলেবেলার শহরে বিজয়ার ভাসানের পর সন্ধেতে শুরু হতো বোম ফাটানোর মেলা। আমি মেলা বলছি কারন বয়স নির্বিশেষে সকলেই ব্যাস্ত হতাম। আমি ছিলাম চিরকালের পাকা সেই ছেলেবেলাতেই শিখেছি চকোলেট বোম, দো-দমা ফাটানোর কারিগরি। পরে সময়ের সাথে শহর বদলেছে, বদলেছে সংস্কৃতি। বিজয়ার সন্ধেই আর বোমা ফাটানো হয় নি, বদলে যায় দিওয়ালি উৎসবে। আর ছিল সকলের সাথে হাতে-হাত ধরে আত্মীয়-বন্ধুর বাড়িতে নানান খাবারের লোভে পা রাখা। নারকেল নাড়ু, ঘুগনি, লুচির আনন্দ!! খাওয়াটা বোধহয় বড় ছিল না, বড় ছিল উৎসাহে ভরপুর প্রাণের আনন্দ সকলে মিলে একসাথে।
গতকাল ছেলেকে নিয়ে অনেকক্ষন ছিলাম প্যান্ডেলে, সে ব্যাস্ত হলো না চেনা আরও দুই বাচ্চার সাথে। ওদের চেনার প্রয়োজন হয় না। সরলতার পুরস্কার!! তিনজনে তিনটি ডোরেমন বেলুন হাতে আনন্দে নেচে লাফিয়ে একাকার। শেষে ছেলের বিদেয় নেবার পালা। অনিচ্ছে সত্বেও ছেলে হাত নেড়ে বাই বলে, যা আরোও বেশি আনন্দ দেয় ছেলে বলে ওঠে বাই আকাশ। বন্ধুত্ব পাতানোর জন্য সময় স্থান গন্ডির প্রয়োজন হয় না কাল শিখলাম। অথচ দুই বাচ্চার বাবা সামনে দাড়িয়ে থাকলেও মানসিক জটিলতার কারনে নিজেরা নিজেদেরকে বাইও বলতে পারি না!
রাত্তিরে বিছানায় শুয়ে শুরু ছেলের প্রশ্ন - পাপা গড আবার কবে আসবে?
ঘুম জড়ানো চোখে জবাব দিই - আসছে বছর আবার আসবে।
ছেলে - কিন্তু তুমি যে বল গড সবসময় কাছেই থাকে।
ঘুম ভাঙা চোখে জবাব দিতে বাধ্য হই - পাপা গড প্যান্ডেলে বছরে একবার আসে, বাকি সময় তোমার কাছেই থাকে।
ছেলে - আমার কাছে? বিস্ময় জাগে ছেলের মনে।
বুকের দিকে ইশারায় দেখায়, বলি- এখানে।
ছেলে চটজলদি জবাব দেয় - কিন্তু তুমি যে বল মাম্মাম ওখানে থাকে।
উত্তর খুঁজি সারাটা রাত, গায়-মাথায় হাত বুলিয়ে কোনোওরকমে ঘুম পাড়িয়ে উঠে যায় ব্যালকনির ঘন আঁধারে। আঁধারেই তো গড বেশি বেশি দেখা দেয়, আঁধারেই তো বিজয়া ফিরে যায়, আঁধারেই তো বিজয়া আলোর দূ্যতি ছড়ায় ফের ভোর হবে বলে।
Comments