এভাবেও ফিরে আসা যায়!
ফিরছিলাম ছেলের সাথে বার্থ্ডে পার্টি থেকে। ছেলের জীবনে প্রথম। সন্ধে থেকে নানা কার্যকলাপের পর স্বাভাবিকভাবেই এক ছোট্ট বাচ্চার ধকল সামলিয়ে না ঘুমিয়ে থাকা বেশ দুরূহ কাজ। যাইহোক আধা ঘুম জড়ানো চোখে, পাপার কোলে মাথা রেখে প্রায় নিদ্রাদেবী আসন্ন। চারিদিকের চোখ ধাঁধাঁনো আলো ও গাড়ির আওয়াজও ক্লান্ত শরীরকে বশে রাখতে পারে না। তারই মাঝে হঠাৎ ছেলে আমার আধো-আধো স্বরে বলে- পাপা আমায় কাল ডানা এনে দেবে।
কিছু না বুঝে আবার প্রশ্ন করি - কি ? কি এনে দেব ?
ঘুম জড়ানো চোখে ছেলে উত্তর দেয় - ডানা ! আমি পাখিদের মত উড়ব।
উত্তর ছিল না। শুধু মাথা হেলিয়ে সম্মতি জানায়। পরে রিক্সায় আসতে-আসতে মনে হয় - ওড়ার নেশা বড় নেশা, ছোটো-বড় সকলেই সামিল।
সে তো গেল সেদিনের গল্প। আজ অফিস আসার পথে সিড়ি দিয়ে নামার সময় এক বাচ্চার সাথে চোখাচোখি। প্রথম দেখা গতকাল। নিজের ব্যস্ত জীবনের তাগিদে বহু বাচ্চায় অদেখা রয়ে যাচ্ছে। কতই বা বয়স হবে বাচ্চাটির - এক কি দেড় বছর !
যেভাবে হেসে ফ্লাইং কিস দিয়ে হাত নাড়ল মনে হল আমার চিরদিনের হারিয়ে যাওয়া সাথী ফিরে এল এভাবে। মনে পড়ল চন্দ্রবিন্দুর একটি গানের লাইন - এভাবেও ফিরে আসা যায়!
কিছু না বুঝে আবার প্রশ্ন করি - কি ? কি এনে দেব ?
ঘুম জড়ানো চোখে ছেলে উত্তর দেয় - ডানা ! আমি পাখিদের মত উড়ব।
উত্তর ছিল না। শুধু মাথা হেলিয়ে সম্মতি জানায়। পরে রিক্সায় আসতে-আসতে মনে হয় - ওড়ার নেশা বড় নেশা, ছোটো-বড় সকলেই সামিল।
সে তো গেল সেদিনের গল্প। আজ অফিস আসার পথে সিড়ি দিয়ে নামার সময় এক বাচ্চার সাথে চোখাচোখি। প্রথম দেখা গতকাল। নিজের ব্যস্ত জীবনের তাগিদে বহু বাচ্চায় অদেখা রয়ে যাচ্ছে। কতই বা বয়স হবে বাচ্চাটির - এক কি দেড় বছর !
যেভাবে হেসে ফ্লাইং কিস দিয়ে হাত নাড়ল মনে হল আমার চিরদিনের হারিয়ে যাওয়া সাথী ফিরে এল এভাবে। মনে পড়ল চন্দ্রবিন্দুর একটি গানের লাইন - এভাবেও ফিরে আসা যায়!
Comments