স্পন্দন-প্রেম-ব্যথা-আনন্দ
মনটা গতকাল বিকেলের পর খুব খারাপ হয়ে যায়। ঠিক হতে সময় লাগবে। এক বন্ধু অ্যাক্সিডেন্ট-এ তিন দিন কোমায় আচ্ছন্ন থাকার পর স্থবির হয়েছে। রেখে গেছে এক বছরের মেয়ে। ছোট্ট তুলতুলে, সকলের আদরের!
সকলেই এরপর সমবেদনা জানাবে। কেউবা বলবে আমি ঠিক কি বলব বুঝতে পারছি না। ফেস করা খুব টাফ। ভগবান সবই দেখছেন..... ব্লাব্লাব্লা....
কেউ একথাটা শুনতে চাইবে না তার স্ত্রী কি বলছে। তার ভেতরে কি ঝড় চলছে। তার একলা থাকাটা কতটা দরকারি।
শুধু ভাষনের বন্যা! সকলেই সমবেদনা জানাতে ব্যাস্ত।
আর তার ছোট্ট মেয়ের না বোঝা, না বলা কথা কেইবা ইন্টারপ্রেট করবে!
ফেসবুকে ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ ঢুকবে কি করা উচিৎ কি উচিৎ নয়। সময় নষ্ট! বিরক্ত লাগে কিন্তু উপায় নেই, সামাজিক জীব ডিসেন্সি নামক শব্দের দ্বারা আবদ্ধ।
আমরা একটা ছোট্ট কথা বুঝি নাঃ " যা হারাই, তা হারায় না। যা হারায় না, তাই হারাই।" ধরে রাখার নামই জীবন। জীবনের স্পন্দন বোঝার জন্য বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। নেই বোদ্ধা হবার ভানের। দেখার চোখ থাকলেই দেখা যায়। সময় বড় শক্তিশালী। কখন যে কি রুপে সামনে এসে সব বদলে দিয়ে যায় বোঝা না যায়। এক লহমায় জামা বদলের খেলা সম্পূর্ন হয়। জীবিত হয় মৃত।
আর এক প্রকারভেদ আছে, জীবনমৃত। স্পন্দন ধরে না রাখাটাই মৃত্যুর প্রকাশ। তা মৃত্যু নয় নিশ্চই কিন্তু জীবন্মৃত!
সকলেই প্রেম চায়। খুশি চায়। আনন্দ চায়। কিন্তু তার চারপাশে বিছিয়ে রাখা কাঁটা, নৈবচ! যদিও কাঁটাও সত্য। এইসব চিন্তা-ভাবনা শোনা বন্ধু প্রায় নাম মাত্র। কেইবা চায় পাগলের প্রলাপ শুনতে ও বুঝতে!
ছোট্ট বেলার অনেক খুশির খবর ভীষণ আনন্দ দিয়ে যেত। বড় হলে খুশি-আনন্দ কমে যায়। বদলে যায় তার ডেফিনিশান। ছেলেবেলার রোমন্থন করার সুযোগ আসে একলা হলে। মনে পড়ে যায় প্রথম বাগান করার কথা, প্রথম সাইকেল চালানোর কথা, প্রথম বাপির গাড়ি না বলে নিয়ে যাওয়া। অনেক.... অনেক প্রথম ভাল-মন্দের কথা। বহু বন্ধুর সাথে শেষ কবে দেখা হয়েছে কোন কালে খেয়ালই নেই। এখন হয়ত আর কোনোওদিনই দেখা হবে না এটা মেনে নিতে অসুবিধে হয় না। কারন সময়ের প্রলেপ। মাঝে মাঝে প্রাণ বড় কাঁদে। উপায় নেই বন্ধু! জীবনের নিয়ম, প্রকৃতির নিয়ম। বিচ্ছেদই লয়-তাল-নিয়মের বন্ধনে বন্দি।
সে জানে সময় বন্ধু-স্ত্রীর জীবনও ভরাট করে দেবে, তবুও ' মৃত্যু' সে তো জীবনের চাইতেও বড়। তাই তো যাবার আগে কাঁদিয়ে যায়। তাই তো একমাত্র জানা সত্য। তাই প্রেম!
স্ত্রী বা স্বামী তো বন্ধু! বিশেষ বন্ধু। সবিশেষ বন্ধু। হারানোর কষ্টটা বেশিই! কিইবা করা! সহ্য কর। হাসি মুখে সহ্য কর। হারিয়েও, না হারানোর ছলনার নামই যে প্রেম।
"প্রেম- সে তো অনুভবের বিষয়। উপলব্ধির বিষয়। সাধনার বিষয়।" কথাটা কোথায় পড়েছিল এখন আর মাথায় নেই।
সকলেই এরপর সমবেদনা জানাবে। কেউবা বলবে আমি ঠিক কি বলব বুঝতে পারছি না। ফেস করা খুব টাফ। ভগবান সবই দেখছেন..... ব্লাব্লাব্লা....
কেউ একথাটা শুনতে চাইবে না তার স্ত্রী কি বলছে। তার ভেতরে কি ঝড় চলছে। তার একলা থাকাটা কতটা দরকারি।
শুধু ভাষনের বন্যা! সকলেই সমবেদনা জানাতে ব্যাস্ত।
আর তার ছোট্ট মেয়ের না বোঝা, না বলা কথা কেইবা ইন্টারপ্রেট করবে!
ফেসবুকে ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ ঢুকবে কি করা উচিৎ কি উচিৎ নয়। সময় নষ্ট! বিরক্ত লাগে কিন্তু উপায় নেই, সামাজিক জীব ডিসেন্সি নামক শব্দের দ্বারা আবদ্ধ।
আমরা একটা ছোট্ট কথা বুঝি নাঃ " যা হারাই, তা হারায় না। যা হারায় না, তাই হারাই।" ধরে রাখার নামই জীবন। জীবনের স্পন্দন বোঝার জন্য বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নেই। নেই বোদ্ধা হবার ভানের। দেখার চোখ থাকলেই দেখা যায়। সময় বড় শক্তিশালী। কখন যে কি রুপে সামনে এসে সব বদলে দিয়ে যায় বোঝা না যায়। এক লহমায় জামা বদলের খেলা সম্পূর্ন হয়। জীবিত হয় মৃত।
আর এক প্রকারভেদ আছে, জীবনমৃত। স্পন্দন ধরে না রাখাটাই মৃত্যুর প্রকাশ। তা মৃত্যু নয় নিশ্চই কিন্তু জীবন্মৃত!
সকলেই প্রেম চায়। খুশি চায়। আনন্দ চায়। কিন্তু তার চারপাশে বিছিয়ে রাখা কাঁটা, নৈবচ! যদিও কাঁটাও সত্য। এইসব চিন্তা-ভাবনা শোনা বন্ধু প্রায় নাম মাত্র। কেইবা চায় পাগলের প্রলাপ শুনতে ও বুঝতে!
ছোট্ট বেলার অনেক খুশির খবর ভীষণ আনন্দ দিয়ে যেত। বড় হলে খুশি-আনন্দ কমে যায়। বদলে যায় তার ডেফিনিশান। ছেলেবেলার রোমন্থন করার সুযোগ আসে একলা হলে। মনে পড়ে যায় প্রথম বাগান করার কথা, প্রথম সাইকেল চালানোর কথা, প্রথম বাপির গাড়ি না বলে নিয়ে যাওয়া। অনেক.... অনেক প্রথম ভাল-মন্দের কথা। বহু বন্ধুর সাথে শেষ কবে দেখা হয়েছে কোন কালে খেয়ালই নেই। এখন হয়ত আর কোনোওদিনই দেখা হবে না এটা মেনে নিতে অসুবিধে হয় না। কারন সময়ের প্রলেপ। মাঝে মাঝে প্রাণ বড় কাঁদে। উপায় নেই বন্ধু! জীবনের নিয়ম, প্রকৃতির নিয়ম। বিচ্ছেদই লয়-তাল-নিয়মের বন্ধনে বন্দি।
সে জানে সময় বন্ধু-স্ত্রীর জীবনও ভরাট করে দেবে, তবুও ' মৃত্যু' সে তো জীবনের চাইতেও বড়। তাই তো যাবার আগে কাঁদিয়ে যায়। তাই তো একমাত্র জানা সত্য। তাই প্রেম!
স্ত্রী বা স্বামী তো বন্ধু! বিশেষ বন্ধু। সবিশেষ বন্ধু। হারানোর কষ্টটা বেশিই! কিইবা করা! সহ্য কর। হাসি মুখে সহ্য কর। হারিয়েও, না হারানোর ছলনার নামই যে প্রেম।
"প্রেম- সে তো অনুভবের বিষয়। উপলব্ধির বিষয়। সাধনার বিষয়।" কথাটা কোথায় পড়েছিল এখন আর মাথায় নেই।
Comments