সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন - ৬
ষষ্ঠ পর্ব
গনেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকারবাবু আজ লেখা শুরু করলেন। আজ উনি পুরোনো (২০০৩) কিছু বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট শেয়ার করবেন। নিজের জীবনে কাজে না লাগলেও অনেক গুনীজনের যদি কোনোও কাজে লাগে।
আপনি-আমি সকলে ব্যবহার করি রেফ্রিজারেটর -
১। সন্ধেবেলা একটি পিঁপড়ে বেশ খানিকক্ষণ রেফ্রিজারেটর-এর ডোর-লাইনারের ধার দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে, কিন্তু ঢুকতে পারছেনা।
২। এক ভদ্রলোক ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে উঠে এসে আঙুলের টোকায় পিপড়েটি ফেলে, ফ্রিজের ডোর খুলে ভেতরে কাঁচের বোওল-এর রাখা রসগোল্লা একটি তুলে মুচকি হেসে মুখে ফেলে চলে যান।
৩। রেফ্রিজারেটরের প্রডাক্ট শট ।
৪। স্ক্রিনে ভেসে ওঠে প্রডাক্টের লোগো।
সাবান গরীব-বড়লোক সকলেই ব্যবহার করে -
১। সবুজ মেঝেতে একটি বেগুনী খেলনার গাড়ি ছুটে এল। ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি আধশোয়া বাচ্চার মুখ।
২। গাড়িটি কাছে আসতেই একটি হাত খেলনা-গাড়িটি থামিয়ে তুলে নেয়।
৩। খেলনা-গাড়িটির গায়ে লেখা পতঞ্জলি।
৪। ভদ্রলোক জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।
৫। স্ক্রিনে ভেসে এলো পতঞ্জলি সোপ।
৬। বাচ্চাটির মা স্নান করাচ্ছেন বাথটবে পাশে রাখা সাবান।
৭। প্রডাক্ট শট যাবে।
এয়ার-কন্ডিশনার এখন সাধারন মানুষের জন্য -
১। শরতের বিকেল, চারিদিকে গাছ-গাছালির ছাপ, তারই মাঝে একফালি নীল জলের আভা।
২। গাছের পাতা দেখে হালকা বাতাস বইছে বোঝা যায়।
৩। ক্যামেরা ক্লকওয়াইজ ঘুরতে-ঘুরতে একটি বেগুনী রঙ-এর ফুল (ব্লার) ধরে গাছটির গোড়ায় এসে থামে, রঙ লালচে।
৪। নীচে একটি বাচ্চা ঘুমিয়ে, চারিধারে হলুদ-বেগুনী ফুল মাটিতে ছড়িয়ে।
৫। ডিসলভ হয়ে বাচ্চাটি শুয়ে আছে একই জায়গায় শুধু সুন্দর রুমে, পুরো ওয়ালে একই দৃশ্য।
৬। ওয়ালে টাঙানো একটি হিতাচি'র এয়ারকন্ডিশনার। ছোট্ট করে লেখা বায়ো-ফ্রেশ।
৭। প্রডাক্ট শট হিতাচি এয়ার-কন্ডিশনার - বায়ো-ফ্রেশ।
আজকে এইটুকুই থাক পরের দিন আবার দেওয়া যাবে। দয়া করে কেউ ঝাড়লে বলে ঝাড়বেন। তাতে মন খারাপ হয়না। অবশ্য অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিরা এড-ওয়ার্ল্ড-এ আছেন। অসাধারন কনসেপ্ট জন্ম দিয়েছেন ও দিয়ে যাবেন।
ভাবছেন হঠাৎ এসব সরকারবাবু দিচ্ছেন কেন। আসলে সরকারবাবু দেখাতে চাইছেন ভোঁদুর দলেদের সাথে থাকতে-থাকতে সরকারবাবুর এক শিষ্য ভোদু হয়েছিলেন। এখন একটু মানুষ হবার সাধ জেগেছে।
পরের পর্বে আসবে প্রয়োগসিদ্ধি অর্থাৎ পারফেকশান ইন এপ্লিকেশান অফ নলেজ ও অধ্যাত্মিকতা। অবশ্যই সরকারবাবুর মত, শুধু ব্লগ তার শিষ্যের...।
গনেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকারবাবু আজ লেখা শুরু করলেন। আজ উনি পুরোনো (২০০৩) কিছু বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট শেয়ার করবেন। নিজের জীবনে কাজে না লাগলেও অনেক গুনীজনের যদি কোনোও কাজে লাগে।
আপনি-আমি সকলে ব্যবহার করি রেফ্রিজারেটর -
১। সন্ধেবেলা একটি পিঁপড়ে বেশ খানিকক্ষণ রেফ্রিজারেটর-এর ডোর-লাইনারের ধার দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে, কিন্তু ঢুকতে পারছেনা।
২। এক ভদ্রলোক ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে উঠে এসে আঙুলের টোকায় পিপড়েটি ফেলে, ফ্রিজের ডোর খুলে ভেতরে কাঁচের বোওল-এর রাখা রসগোল্লা একটি তুলে মুচকি হেসে মুখে ফেলে চলে যান।
৩। রেফ্রিজারেটরের প্রডাক্ট শট ।
৪। স্ক্রিনে ভেসে ওঠে প্রডাক্টের লোগো।
সাবান গরীব-বড়লোক সকলেই ব্যবহার করে -
১। সবুজ মেঝেতে একটি বেগুনী খেলনার গাড়ি ছুটে এল। ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি আধশোয়া বাচ্চার মুখ।
২। গাড়িটি কাছে আসতেই একটি হাত খেলনা-গাড়িটি থামিয়ে তুলে নেয়।
৩। খেলনা-গাড়িটির গায়ে লেখা পতঞ্জলি।
৪। ভদ্রলোক জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন।
৫। স্ক্রিনে ভেসে এলো পতঞ্জলি সোপ।
৬। বাচ্চাটির মা স্নান করাচ্ছেন বাথটবে পাশে রাখা সাবান।
৭। প্রডাক্ট শট যাবে।
এয়ার-কন্ডিশনার এখন সাধারন মানুষের জন্য -
১। শরতের বিকেল, চারিদিকে গাছ-গাছালির ছাপ, তারই মাঝে একফালি নীল জলের আভা।
২। গাছের পাতা দেখে হালকা বাতাস বইছে বোঝা যায়।
৩। ক্যামেরা ক্লকওয়াইজ ঘুরতে-ঘুরতে একটি বেগুনী রঙ-এর ফুল (ব্লার) ধরে গাছটির গোড়ায় এসে থামে, রঙ লালচে।
৪। নীচে একটি বাচ্চা ঘুমিয়ে, চারিধারে হলুদ-বেগুনী ফুল মাটিতে ছড়িয়ে।
৫। ডিসলভ হয়ে বাচ্চাটি শুয়ে আছে একই জায়গায় শুধু সুন্দর রুমে, পুরো ওয়ালে একই দৃশ্য।
৬। ওয়ালে টাঙানো একটি হিতাচি'র এয়ারকন্ডিশনার। ছোট্ট করে লেখা বায়ো-ফ্রেশ।
৭। প্রডাক্ট শট হিতাচি এয়ার-কন্ডিশনার - বায়ো-ফ্রেশ।
আজকে এইটুকুই থাক পরের দিন আবার দেওয়া যাবে। দয়া করে কেউ ঝাড়লে বলে ঝাড়বেন। তাতে মন খারাপ হয়না। অবশ্য অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিরা এড-ওয়ার্ল্ড-এ আছেন। অসাধারন কনসেপ্ট জন্ম দিয়েছেন ও দিয়ে যাবেন।
ভাবছেন হঠাৎ এসব সরকারবাবু দিচ্ছেন কেন। আসলে সরকারবাবু দেখাতে চাইছেন ভোঁদুর দলেদের সাথে থাকতে-থাকতে সরকারবাবুর এক শিষ্য ভোদু হয়েছিলেন। এখন একটু মানুষ হবার সাধ জেগেছে।
পরের পর্বে আসবে প্রয়োগসিদ্ধি অর্থাৎ পারফেকশান ইন এপ্লিকেশান অফ নলেজ ও অধ্যাত্মিকতা। অবশ্যই সরকারবাবুর মত, শুধু ব্লগ তার শিষ্যের...।
Comments