সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন - ৭


সপ্তম পর্ব

এই পর্বের শুরু হবে জল-কেলি ভোঁদু (ফিনান্স) ও তার গুটিকয়েক চেলা-চাপাটি নিয়ে। এই যেমন ধরুন জড়ভরত ভোদু। ঠিক করে কথা বলতে পারে না, তোতলামির রোগ আছে অথচ বাবুর আপ্ত-সহায়ক। ইনারা সবাই ছেলেবেলায় একসাথে বড় হয়েছেন তাই একতা রক্ষা করে চলেন। "বাবুর" ধারেপাশে ইনাদের ইশারা ছাড়া মানুষের প্রবেশ নিষেধ। ইনার বিদ্যের দৌড় এতই যে সরকার বাবুর চালিশ হাজারি শিষ্যের বুদ্ধির হাত ধরে নিজের ডিভিশানের নতুন পালক (_এফএক্স) যোগ করতে হয়। অথচ বাবু মাস গেলে প্রায় লাখ তিনেক দান দেন নিশ্চিত। দিনের শুরু ক্যাপুচিনো ও সিগারেট। দিনের যদিওশুরুর সময় কেউ জানেননা। বাবুর মতই উনার গাড়িও গেটে আটকানো চলে না। বাবুর সাইটে ইনার তাঁবেদারেরা বেশ গুছিয়ে ইনার সম্পর্কে লিখেছেন। কারো ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন। শুধু বুদ্ধি ব্যবহার করেন ইমপোর্ট ডিউটি ফাঁকি, বিএমসি ম্যানেজ ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে। শুধু সিনেমা বিষয়টা যদি জানতেন তাহলে ভাল হতো। অবশ্যি উনাকে দোষ দিই না দোষ বাবুর, কারন উনি পৈত্রিক পুষ্যিগুলোকে ভাল রাখতে চান। "বাবুকে" অনুরোধ করছি Bill Bonnor এর একটি বই -- " Hormegeddon " জল-কেলি ভোঁদুকে (ফিনান্স) গিফট করতে। পড়ে যদি মানে উদ্ধার করতে পারেন। অবশ্যি ক্যাপুচিনো ও সিগারেটের ধোঁয়াতে বুদ্ধির দৃষ্টি ভোঁতা হয়ে গেছে।


যাক এবার সরকারবাবু আসবেন কাজের কথায়...

আধ্যাত্মিকতা ও আমি এই প্রশ্নটি সরকারবাবুর শিষ্যের বারবার মনে আসে। আগে আসত না তা নয়। সব গুরুদের বানী টিভিতে ইউটিউবে দেখে স্থির থাকা সত্যিই যায় না। কতশত ভুইফোড় সংস্থা আছে এদেশে তার ইয়ত্তা নেই! সকলেই অবতার। এরকম কতশতবাবা আমাদের দেশে কর ফাঁকি দিয়ে চলেছেন। সবই পুরোনো বাণী থেকে ঝাড়া। তবে থেকে ভাল ছিল না কি সেই পুরানের ছত্রছায়াতেই থাকা! চার্বাক নামে কেউ ছিলেন সেকথা অনেকেই এদেশে ভুলে গেছেন।

আসুন কতকগুলি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি - এক মহিলা মৃত্যুমুখে ভক্তিবাবার হাসপাতালে। শুরু হলো তেনাদের অত্যাচার। যেনতেন প্রকারেণ গীতা পড়ার জন্য লোক বসাতেই হবে! পারলে গরুটাও পাশে রাখেন পরলোকের জন্য। শক্ত হাতে না বলতে এক ভদ্রমহিলা চেয়ার ছাড়লেন বাড়ির লোকজনেদের বসার জন্য। ধন্যি ভড়ংবাজী। অনেকেই বলবেন কেন ভড়ংবাজী কারণ সন্ধের পর থেকেই ডাক্তারকূল উনাকে মৃত ঘোষণা করতে পারলেই বাঁচেন। একদল বলেই বসলেন অন্যান্য পেশেন্ট আছে আপনি বড় সুইটে নিয়ে যান। টাকা থাক বা নাথাক আপনি উঠুন। এযেন হোটেল খুলে বসেছেন ভক্তিবাবা। তাই বললাম ভড়ংবাজী!

এরপর আসব এক মেমোরিয়াল হাসপাতালে। মানুষ সর্বত্রই থাকেন। সেই মানুষই শয়তান ও ভগবান দুইই হন ব্যবহারে। ওখানেই সাপোর্ট স্টাফেদের দম ফেলার ফুরসৎ নেই এবং উনারা বিরক্তি প্রকাশ করলেও কাজ করেন অনেক বেশি।

আপাতত এই দুটি দিয়ে থামলাম, পরে আরোও দেবো অভিজ্ঞতা এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি ও তাদের কর্ম পদ্ধতি নিয়ে।

এবার আসব প্রয়োগসিদ্ধি নিয়ে সামান্য কিছু কথা বলার জন্য। গত পর্বের কথা রাখতে। সরকারবাবুর শিষ্যের কাছে একবার প্রশ্ন এসেছিল এইসময়েও কি রবীন্দ্রনাথ সফল হতেন ? উত্তর একটাই হ্যাঁ হতেন, কারন উনার কাছে প্রয়োগসিদ্ধি ছিল। সময়ের নিরিখে উনি লেখার ধরন বদলে ফেলতেন। মাছের বাজারে বসিয়ে দিলেও উনি লিখতে পারতেন। উনার লেখার সিদ্ধি এতটাই।

একই সিদ্ধি দেখা যায় উস্তাদ আলি আকবর খান, উস্তাদ বিসমিল্লা খান নামের মানুষের কাছে। অনেকেই জানেননা উস্তাদ বিসমিল্লা খানের গানের গলা যা ছিল তাতে আধুনিক ফিলিমের গায়কদের লজ্জায় পড়ে যেতে হতো। সরকারবাবুর শিষ্যের একবার শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। প্রয়োগসিদ্ধির চূড়ান্ত স্তর না ছুঁলে ওই স্তর ছোয়া যায় না ও ঈশ্বরবোধ পাকা হয় না (ঈশ্বরবোধ মানে পুতুলখেলা নয়, আরোও বেশি কিছু)।

অনেকসময়েই দেখা যায় পারফর্মিং আর্ট-এর মানুষেরা সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এর মানে আর কিছুই নয় সময় থেকে বেরিয়ে যাওয়া। সেখানেই সিদ্ধির সার্থকতা। পরে বিস্তারিত লিখব এই বিষয়ে আপাতত এইটুকুই।

শেষ করব একটি ব্যাগ-এর ছোট্ট বিজ্ঞাপনএর স্ক্রিপ্ট দিয়ে।



১। একটি বাচ্চা টেবিলে বসে একমনে কাগজের ব্যাগ বানিয়ে রাখল।
২। কাঁচের টেবিলে শুধু কাগজের ব্যাগটি রাখা।
৩। একটি হাত এসে কাগজের ব্যাগটি বদলে লেদারের ব্যাগ রেখে গেল।
৪। প্রডাক্ট শট যাবে।
 





 
***  জল-কেলি ভোঁদু ও জড়ভরত ভোঁদূর জন্য দুটি ছবি উপহার দিলাম।  অন্যরা ঝেপে দেবেননা। আপনাদের জন্যই দিলাম।

Comments

Popular Posts