শিশু থেকে বিশ্বনাগরিক
প্রাণের তাগিদে প্রায়ই লেখা হয় না কারনটা খুবই তুচ্ছ - প্রাণ আজকাল তার সাথে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছে বলা যায়। গতকাল রাত্তিরে সে ভেবেছে শুধুই একটু লেখার জন্য। সত্যি অদ্ভূত !
জীবনের লীলা বোঝা দায়। কোন সময় মনের পরিবর্তন ঘটে! তাই জীবন সুন্দর, তাই সৃষ্টি সুন্দর। তার সৌন্দর্য্য তার নিজস্বতায়, গোপনীয়তায়, লাজুক ভাবে। আজ সমাজ ও প্রকৃতি তার গোপনীয়তা হারিয়েছে ও একই সাথে হারিয়েছে তার নিজস্ব লাজুক ভাব।
এক সময় বলা হতো লজ্জা নারীর ভূষণ! যদিও সে নিজেই বিশ্বাস করে না আধুনিক নারী লাজুক হোক, সব ঢেকেঢুকে চেপেচুপে বেঁচেবর্ত্তে থাক কোনোওমতে। ধিক সেই জীবন !
তবে এই সময়ের নারীবাদীদের চেতনার কোনোও এক ফাঁকে ফাঁকি নিশ্চিত লুকিয়ে আছে। কি সেই ফাঁকি তার কথায় আসা বরং বেশি ভাল শুধুই বকর-বকর করার চেয়ে। জানিনা কজন প্রগতিশীল মানুষ কালাহান্ডি দেখেছেন ? জানা নেই কজন প্রগতিশীল দেশবাসী প্রকৃত গ্রামের রুপ দেখেছেন ? জানি না কজন আধুনিক সমাজসংস্কারক শহুরে জীবনের ফাঁকেও বস্তি অথবা নিম্নবিত্ত পরিবেশে থেকেছেন ? টিভিতে-ইউটিউবের বিজ্ঞাপনে বহুসময় যৌনতার সুড়সুড়ি দেওয়া বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি দেখেও আমাদের মুখ ফুটে বলতে হবে - জয় ভারতবর্ষের গনচেতনার জয়!
আর যদি বলি ধর্ষণ-এর কথা - আমরা সেই শুরু থেকেই জোর যার মুলুক তার দেখে এসেছি। এমনকি ডারউইনের যোগ্যতমের উদবর্তনের মাঝেও দেখতে পাই জোর যার মুলুক তার। কাজেই দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার অবধারিত স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে। ধর্ষণ তো অত্যাচার - ঠিক নয় কি? তা সে শারীরিক বা মানসিক যাই হোক না কেন ? যদিও যেকোনোও ধর্ষণই সর্বাত্মক্ভাবে ঘৃণ্য। ক্ষমার অযোগ্য।
একথা কেউকেউ বলছেন নারীই একাধারে দায়ী এই ঘটনার পিছনে। হয়তো কোনোও অংশে বা সত্যি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিতে, তবে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছে তার আছে তাই নানান ধরনের লেখা লিখতে ভালবাসে।
ধরা যাক এক যুবতী এক যুবকের পাশে এসে বসল - পরনে হাফ-প্যান্ট ও টি-শার্ট। এযুগে সাধারন দৃশ্য। ব্যাগ থেকে বই বার করে একমনে নিবিষ্ট হয়ে পড্তে শুরু করল কলেজের নোটবুক, কিন্তু যুবকের শরীর বা মনের কোনোও বিকার হয় নি, বলা ভাল চিত্তের চাঞ্চল্য ঘটে নি। শুধু মেমরিতে থেকে গেছে সেই সরল-নিষ্পাপ রূপ। ঠিক তার দিনকয়েক পেরিয়ে শাড়ি পরিহিতা পাশ দিয়ে পেরোনো এক নারীর শরীরের দুলুনি যুবকের চিত্তে চাঞ্চল্য ঘটিয়ে দিল। যদিও তা একান্তই সেই যুবকের ব্যর্থতা।
একটু বয়সকালে আমরা বুঝি - ড্রেস-টা বড় কথা নয় যিনি পরছেন তার মানসিকতায় কোনোও প্রোভোকেটিভনেস আছে কি ? অথবা যিনি দেখছেন তার মনটা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এটাই বড় কথা।আমরা সোশাল অ্যানিম্যাল একথা ভুলে গেলে সোসাইটির ভিত্তিটাই নষ্ট হয়ে যায়। স্বাধীনতা শব্দটা বেশ মজার কারণ দায়বদ্ধতা বেশি অবশ্য যদি তা কেউ বুঝতে পারে। বিয়ে না করলে বিয়ের মর্ম বোঝা যায় না একথা যেমন ঠিক তেমনি স্বাধীনতা না হারালে স্বাধীনতার মর্ম বোঝা যায় না সেটাও আমরা সকলে মানি।
আজকাল একটা কথা বারবার শোনা যাচ্ছে - লিগ্যাল রেপ!
হ্যাঁ কথাটা সত্যি, রেপ লিগ্যালিটি পায় সোসাইটির অবদানে তবে সেই রেপ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। জরুরি নয় শুধুই স্ত্রী রেপড্ হচ্ছেন ! পুরুষের রেপড্ হওয়ার খবর স্বয়ং পুরুষ মুখ ফুটে বলতে পারে না সেটা দেখা যায় তার চোখে-মুখে।
নির্ভয়ারা নির্ভয়ে বাড়ির বাইরে সচ্ছন্দে বেড়াবে, প্রাণের আনন্দে জীবনকে উপভোগ করুক সেটাই সব বাবা-মা'র কাম্য। কোনোও বাবা-মা চাই না তার পুত্রসন্তান নির্ভিক হয়ে নির্ভয়ার নিধনে মাতুক !
ধন্যবাদ প্রাপ্য সেই মা'র যিনি তার বাড়ির সকল পুরুষকে নারীর মর্যাদা শেখাতে পেরেছেন। ধন্যাবাদ প্রাপ্য সেই পুরুষের যিনি তার বাড়ির সকল সদস্যকে নারীর মর্যাদা দিতে শিখিয়েছেন।
রেপ কোনোও বিশেষ ঘটনা বা ব্যাতিক্রমী রোগ নয়, আদিম জন্তুর জান্তব আস্ফালনের প্রকাশমাত্র। একমাত্র সু-শৈশবে ভরা জীবনই পারে জীবনের শুরু থেকে জন্তুর জান্তব দাপট থেকে মানুষে উত্তরণে সাহায্য করতে।
তাই প্রার্থণা করে - সু-শৈশব দিও।
সেলাম জানায় সেই সকলকে যাঁরা সু-শৈশবের মর্মাথ বুঝে শিশুকে বাল্যে, বাল্যকে কৈশরে, কৈশরকে যুবকে, যুবকে সুনাগরিক অর্থে বিশ্বনাগরিকে বদলে দেয়।
জীবনের লীলা বোঝা দায়। কোন সময় মনের পরিবর্তন ঘটে! তাই জীবন সুন্দর, তাই সৃষ্টি সুন্দর। তার সৌন্দর্য্য তার নিজস্বতায়, গোপনীয়তায়, লাজুক ভাবে। আজ সমাজ ও প্রকৃতি তার গোপনীয়তা হারিয়েছে ও একই সাথে হারিয়েছে তার নিজস্ব লাজুক ভাব।
এক সময় বলা হতো লজ্জা নারীর ভূষণ! যদিও সে নিজেই বিশ্বাস করে না আধুনিক নারী লাজুক হোক, সব ঢেকেঢুকে চেপেচুপে বেঁচেবর্ত্তে থাক কোনোওমতে। ধিক সেই জীবন !
তবে এই সময়ের নারীবাদীদের চেতনার কোনোও এক ফাঁকে ফাঁকি নিশ্চিত লুকিয়ে আছে। কি সেই ফাঁকি তার কথায় আসা বরং বেশি ভাল শুধুই বকর-বকর করার চেয়ে। জানিনা কজন প্রগতিশীল মানুষ কালাহান্ডি দেখেছেন ? জানা নেই কজন প্রগতিশীল দেশবাসী প্রকৃত গ্রামের রুপ দেখেছেন ? জানি না কজন আধুনিক সমাজসংস্কারক শহুরে জীবনের ফাঁকেও বস্তি অথবা নিম্নবিত্ত পরিবেশে থেকেছেন ? টিভিতে-ইউটিউবের বিজ্ঞাপনে বহুসময় যৌনতার সুড়সুড়ি দেওয়া বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি দেখেও আমাদের মুখ ফুটে বলতে হবে - জয় ভারতবর্ষের গনচেতনার জয়!
আর যদি বলি ধর্ষণ-এর কথা - আমরা সেই শুরু থেকেই জোর যার মুলুক তার দেখে এসেছি। এমনকি ডারউইনের যোগ্যতমের উদবর্তনের মাঝেও দেখতে পাই জোর যার মুলুক তার। কাজেই দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার অবধারিত স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে। ধর্ষণ তো অত্যাচার - ঠিক নয় কি? তা সে শারীরিক বা মানসিক যাই হোক না কেন ? যদিও যেকোনোও ধর্ষণই সর্বাত্মক্ভাবে ঘৃণ্য। ক্ষমার অযোগ্য।
একথা কেউকেউ বলছেন নারীই একাধারে দায়ী এই ঘটনার পিছনে। হয়তো কোনোও অংশে বা সত্যি ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিতে, তবে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছে তার আছে তাই নানান ধরনের লেখা লিখতে ভালবাসে।
ধরা যাক এক যুবতী এক যুবকের পাশে এসে বসল - পরনে হাফ-প্যান্ট ও টি-শার্ট। এযুগে সাধারন দৃশ্য। ব্যাগ থেকে বই বার করে একমনে নিবিষ্ট হয়ে পড্তে শুরু করল কলেজের নোটবুক, কিন্তু যুবকের শরীর বা মনের কোনোও বিকার হয় নি, বলা ভাল চিত্তের চাঞ্চল্য ঘটে নি। শুধু মেমরিতে থেকে গেছে সেই সরল-নিষ্পাপ রূপ। ঠিক তার দিনকয়েক পেরিয়ে শাড়ি পরিহিতা পাশ দিয়ে পেরোনো এক নারীর শরীরের দুলুনি যুবকের চিত্তে চাঞ্চল্য ঘটিয়ে দিল। যদিও তা একান্তই সেই যুবকের ব্যর্থতা।
একটু বয়সকালে আমরা বুঝি - ড্রেস-টা বড় কথা নয় যিনি পরছেন তার মানসিকতায় কোনোও প্রোভোকেটিভনেস আছে কি ? অথবা যিনি দেখছেন তার মনটা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এটাই বড় কথা।আমরা সোশাল অ্যানিম্যাল একথা ভুলে গেলে সোসাইটির ভিত্তিটাই নষ্ট হয়ে যায়। স্বাধীনতা শব্দটা বেশ মজার কারণ দায়বদ্ধতা বেশি অবশ্য যদি তা কেউ বুঝতে পারে। বিয়ে না করলে বিয়ের মর্ম বোঝা যায় না একথা যেমন ঠিক তেমনি স্বাধীনতা না হারালে স্বাধীনতার মর্ম বোঝা যায় না সেটাও আমরা সকলে মানি।
আজকাল একটা কথা বারবার শোনা যাচ্ছে - লিগ্যাল রেপ!
হ্যাঁ কথাটা সত্যি, রেপ লিগ্যালিটি পায় সোসাইটির অবদানে তবে সেই রেপ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। জরুরি নয় শুধুই স্ত্রী রেপড্ হচ্ছেন ! পুরুষের রেপড্ হওয়ার খবর স্বয়ং পুরুষ মুখ ফুটে বলতে পারে না সেটা দেখা যায় তার চোখে-মুখে।
নির্ভয়ারা নির্ভয়ে বাড়ির বাইরে সচ্ছন্দে বেড়াবে, প্রাণের আনন্দে জীবনকে উপভোগ করুক সেটাই সব বাবা-মা'র কাম্য। কোনোও বাবা-মা চাই না তার পুত্রসন্তান নির্ভিক হয়ে নির্ভয়ার নিধনে মাতুক !
ধন্যবাদ প্রাপ্য সেই মা'র যিনি তার বাড়ির সকল পুরুষকে নারীর মর্যাদা শেখাতে পেরেছেন। ধন্যাবাদ প্রাপ্য সেই পুরুষের যিনি তার বাড়ির সকল সদস্যকে নারীর মর্যাদা দিতে শিখিয়েছেন।
রেপ কোনোও বিশেষ ঘটনা বা ব্যাতিক্রমী রোগ নয়, আদিম জন্তুর জান্তব আস্ফালনের প্রকাশমাত্র। একমাত্র সু-শৈশবে ভরা জীবনই পারে জীবনের শুরু থেকে জন্তুর জান্তব দাপট থেকে মানুষে উত্তরণে সাহায্য করতে।
তাই প্রার্থণা করে - সু-শৈশব দিও।
সেলাম জানায় সেই সকলকে যাঁরা সু-শৈশবের মর্মাথ বুঝে শিশুকে বাল্যে, বাল্যকে কৈশরে, কৈশরকে যুবকে, যুবকে সুনাগরিক অর্থে বিশ্বনাগরিকে বদলে দেয়।
Comments