কাশী’স্
কাশী’স্
দেবাশিস্ ভট্টাচার্য্য
প্রত্যেকেরই জীবনে কিছু কথা থাকে যা সত্যি না বলে রুপকথা বলাই ভাল। সে অনেকদিন আগের কথা - বছরটা খেয়াল নেই, আমার পশ্চিমবাংলা ছেড়ে পশ্চিমে পাড়ি। পশ্চিমে বলার নাটকীয়তা না করে মুম্বাই শব্দটাই ঠিক। অনেক আশা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন নিয়েই মুম্বাই যাত্রা। সকলের মত আমার কাছেও এছিল এক স্বপ্ননগরী। এখনও মনে পড়ে মায়ের সেই কান্না, সেই সাবধানবাণী – বাবু সাবধানে থাকিস। কথাটার মধ্যে বন্ধনের এত তীব্রতা ছিল যা এত বছর বাদেও হারিয়ে যায় নি। সেই করুণ মুখ, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সবই আজও ভেসে ওঠে চোখের সামনে। একএক সময় মনে হয় ঐ সাবধানবানীগুলো বোধহয় হারিয়ে যেতে দেয়নি নানা প্রলভনের মাঝেও। থাক সেসব কথা – আজ যে বিষয় নিয়ে বলার কথা তা নিয়েই শুরু করি।
অবশ্য তার আগে একটু অফিস ও ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু কথা বলে রাখা ভাল। তা একটু সুবিধেই করবে এক্ষেত্রে। অফিস-এর নাম কাশী ইনফোকম। নামটা কেমন একটা অস্বস্তিকর। কোথায় কাশী! এক ধর্মস্থান, আর কোথায় ইনফোকম্ – এ যেন দুই মেরুর মিলন। আজও ভুলতে পারি না সেই অফিস একোমোডেশান্ - দশ-বারোটি ছেলের একসাথে ফ্ল্যাটে থাকা। দিনে একদল আর রাতে আরেকদল। আসলে এছিল এক কলসেন্টার মাপের অফিস। খোলা – তিনশো পঁয়শট্টি দিন; চব্বিশ ঘন্টা। আমার কাজ শুরু হোত রাতে। সেই টানা ছ-মাস রাত জাগা দিনগুলোর কথা ভোলা যায় না। স্মৃতির বেড়াজালে সময় আর নষ্ট না করে মূল চরিত্রে আসি।
ছেলেটির নাম প্রীতম। সকলে ছোটো করে ডাকত, প্রীত। একটু মোটাসোটা, গাব্দা-গোব্দা, লম্বা-চওড়া, হাসি-খুশি ছেলে। প্রথম আলাপেই সকলকে আপন করে নেয়। আমার সাথে পরিচয়টাও ভারী অদ্ভূত। ছেলেটি কাজ করত সিস্টেমস্এ। অর্থাৎ আমাদের সকলকে টেক্-সাপর্ট দেওয়ায় ওর কাজ। এক রাত্তিরে হঠাৎ-ই আমার কাছে এসে হাত বাড়ায়। স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় হাত বাড়াতে গিয়ে দেখি এক বিচিত্র ভঙ্গিমায় হাতটিকে ওপর দিকে তোলে – যেন আমার দিকে হাত মেলানোর জন্য বাড়ায়ইনি। অপ্রস্তুত হয়ে হাতটা নামাতেই জড়িয়ে ধরে। নিমেষের মধ্যে আমার সব জড়তা, বাধা কোথায় উধাও হয়ে যায়। আমার পাশে বসত একটি শান্ত-শিষ্ট কেরালিয়ান ছেলে। সে হেসে বলে – হি ইস লাইক দ্যাট ওনলি্, বাট ভেরি পিয়র ইন হার্ট। সত্যিই ওর হাসির নির্মলতা সব গ্লানি মুছিয়ে দিত।
এ অফিসে আরোও কিছু চরিত্র ছিল যা আমায় খুব টানত। তারমধ্যে বিশেষ নজর কাড়ত ভীষণ শান্ত, কম কথা বলা, লাজুক এক যুবক। সারাদিনই যেন অন্য দুনিয়াই বাস করছে। সে ছিল সকলের জীতুয়া। জীতেন্দর থেকে জীতুয়া কখন হয়ে গেছিল তা সে নিজেও বোধকরি জানেনা। এই ছেলেটির সাথে প্রীত্-এর সম্পর্কটা ছিল দেখার মত- সারা রাত্তির প্রীত ওর পিছনে কাঠি করছে অথচ কি ভীষণ শান্তভাব নিয়ে জীতুয়া তা সামাল দিচ্ছে। একদিনের কথায় ধরা যাক-
রাত্তিরে টি-ব্রেক। সকলেই অফিসের বাইরে ফাঁকা জায়গাটায় এসে দাড়িয়েছে। জমেছে আড্ডা। প্রীত প্রতিদিনের মতই ফুল-ফরম্এ। কেউ বসেছে সিঁড়িতে, কেউ বা বাইকের ওপর। জীতুয়া চায়ের কাপটি নিয়ে এসে দাঁড়ায়। নিমেষের মধ্যে প্রীত ও আরেকটি ছেলের দৃষ্টিবিনিময় হয় যা আমার চোখ এড়াইনি। জীতুয়া যেই একটি সিগ্রেট পকেট থেকে বার করে প্রীত ভাল মুখ করে বলে- ছোড়্ না তেরা ওহ্ ছোটা সিগ্রেট; বড়া সিগ্রেট পি্।
কিছু না ভেবেই হাত বাড়ায় জীতুয়া। খানিকবাদে শুরু হয় কাশি। কেউই ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারেনি শুধু দুজন ছাড়া। অবশ্য আরোও একজন উপলব্ধি করেছিল নীরবে। পরে প্রীতকে চেপে ধরাতে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়। সিগ্রেটের ফিল্টারটি খুলে গুঁড়ো লঙ্কার মশলা সামান্য একটু মিশিয়ে ছিল। যাইহোক এইসব হাসি-মজা, দুষ্টুমি ও কাজ নিয়েই সকলের রাতগুলি কাটছিল। অবশ্য সাথে জড়িয়ে ছিল এই অফিসের বিশেষ একটি দিক। এই কথাটি না বললে পুরোটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
এই অফিসে মাসকাবারি বেতনের কোনও নির্দিষ্ট দিন ছিল না। প্রতি মাসই প্রায় একমাস পেছনে চলত। আর তখন রাত্তিরের অফিস হোত দেখার মত। এ বলে কাজ করব না, ও বলে কাজ করব না। চারিদিকে একটা বিদ্রহের ছায়া। মাঝেমাঝে মনে হোত এত অসুবিধে নিয়ে মানুষ এ জায়গায় পড়ে থাকে কেন। এখন বুঝি- ওখানে তাদেরই স্থান যাদের আর কোনও পথ নেই। একান্তে সকলের সাথেই কথা বলে দেখেছি- প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু বাধা আছে যা তাদের পরবর্তী গন্ত্যবের দিকে যেতে আটকে রেখেছে। আর এক প্রজাতির জীব ওখানে কাজ করে তা দেখার সৌভাগ্যও আমার হয়েছে- যাদের কাজ না করে গল্প করাটাই কাজ। প্রথম প্রথম একটু অবাক হয়ে দেখতাম- এত বড় অফিস, এত বড় এস্টাবলিস্মেন্ট! কি করে চলছে? যাইহোক এ-সব সাতপাঁচ চিন্তা-ভাবনা নিয়েই আমার অফিস-জীবন যথারীতি এগিয়ে চলে; বাড়ে প্রীতমের সাথে ঘনিষ্ঠতাও। এক রাত্তিরে কাজে বসেছি, হঠাৎ প্রীত এসে হাজির। কিছু না বলে চোখের ইশারায় ডাক দেয়। উঠে যায় ওর রুমে। দেখি আরও চারজন সিস্টেমস্-এ বসে। রুম-এর মধ্যে মেশিনের শব্দ, চারিদিকে ছড়ানো-ছেটানো অগোছাল ভাবটা দেখে বিরক্ত হয়েই বলি- ক্যায়া হুয়া?
স্থির দৃষ্টিতে চারজনকে দেখি- এক উগ্র উদ্যমতা যেন কাজ করে চলেছে ওদের ভিতর। প্রীত উঠে একটা প্যাকেট নিয়ে আসে। খুলে টেবিলের ওপর রাখে। কয়েকটি পাঁচশো ও একশো টাকার মেশানো বান্ডিল। কিছু না বুঝে প্রীত-এর দিকে নজর পড়তেই- দাদা, পঁচাশ হাজার হ্যায়। কুছ্ ধান্দা বাতাও না।
মুখ দিয়ে হঠাৎই বেরিয়ে যায়- মচ্ছিকা ধান্দা করো। আর একটাও বাক্য বিনিময় না করে পা বাড়াই।
এরপর কেটে গেছে বেশ কিছুদিন। প্রত্যেকদিনই রাত্তিরে অফিস করি আর সকাল হলে ফিরে যায় নিজের ডেরায়। ওদের দিকে চোখ পড়ে কিন্তু কিছু বলি না। চারজনের চোখের দিকে তাকালে এক উদ্দীপনা নজরে পড়ে। কৌতুহলী হওয়া আমার স্বভাব বিরুদ্ধ হওয়ায় প্রশ্ন করি না। প্রায় মাসখানেক পর প্রীত একদিন ডাক দেয়- দাদা।
স্নেহবশতই চেয়ার টেনে বসতে বলি। উদ্দেশ্য একটাই- সেদিনের ঘটনার লুকিয়ে থাকা প্রশ্নের উত্তর খোঁজা।
প্রীত না বসে পাল্টা বলে- কাল সুব্হা আপসে কাম হ্যায়।
চোখটা একটু বড় করি প্রশ্নাত্মক চিহ্ন নিয়েই। উত্তর না দিয়ে একটু হেসে প্রীত চলে যায়। ওর হাঁটার ভঙ্গির মধ্যে তফাত ধরা পড়ে।
পরদিন সকালে ফ্ল্যাটে শুয়ে আছি। ঠিক দুপুর বারোটায় প্রীত হাজির। এসেই শুরু হোল পুরোনো প্রীত-এর হাসি-মজা। ভারি ভাল লাগত ওর হাসি-খুশি নির্মল মুখটা। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেরোয় ওর সাথে। বেশ কিছুটা এসে বুঝি আমরা ঢুকছি এক অফিস পাড়ায়। তখনও বুঝিনি আমার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে এক চমক। বাইকটা সোজা এনে দাড় করায় এক মাঝারি মাপের ভ্যানের সামনে। ভ্যানটির পিছনেই ছিল চমক। একটু এগিয়ে দেখি অধীর অপেক্ষায় রয়েছে বাকিরা। সত্যিই অবাক হয়েছিলাম সেদিন। চারজনে মিলে খুলেছে মোবাইল ফিস্ শপ্। নামটাও ভারী সুন্দর- কাশী’স্।
শুরু হোল আমার প্রশ্নের পর প্রশ্ন। শেষে বুঝলাম, প্রায় বিরক্ত হয়ে বলা কথাটা গুরুত্ত্ব দিয়ে খুলেছে মাছের দোকান। গাড়িটা নিয়েছে ভাড়ায়। বাচ্চা ছেলের মত সব দেখছিলাম। সুন্দর ডেকরেট করে রাখা মাছের বিভিন্ন প্রিপারেশা্ন। কাস্টমার এলেই ফ্রেশ রেডি করে সার্ভ। দিনের শেষে সব দেওয়া-নেওয়ার পর থাকে প্রায় হাজার খানেক টাকা।
প্রীত বলে- ক্যায়া দাদা, ঠিক হ্যায় না?
উত্তর দেওয়ার ভাষা সে মূহূর্তে আর ছিল না। শুধু বুঝলাম, কিছু করার তাগিদ ওদের এগিয়ে নিয়ে চলেছে। সত্যিই এ-জগৎ সংসারের রহস্য বোঝা ভার। কখন কোথায় তা বাঁক নেয় কেউ জানেনা। প্রশ্ন করি- রাতকো অফিস!
উত্তর আসে- দো দো করকে সামালতে হ্যায়। এক কথায় মনের সব দ্বিধা কেটে যায়। বিশ্বাস আসে ওদের ওপর। খুশি মনে বিদেয় নিই ওদের কাছ থেকে।
সময় তার নিজস্ব নিয়মেই এগিয়ে চলে। এগিয়ে চলে প্রীতদের ব্যাবসা ও আমার অফিস জীবন। অগোছালো অফিস জীবন থেকে বেরিয়ে নতূন অফিসে জয়েন করেছি। কেটে গেছে প্রায় বছরখানেক। হয়েছি আরোও ব্যাস্ত। থাকার জায়গারও পরিবর্ত্তন হয়েছে। বিভিন্ন কর্মব্যাস্ততার মাঝে ইচ্ছে থাকলেও প্রায় ভুলতেই বসেছি ওদের কথা। একদিন নতূন ফ্ল্যাট-এ ঢোকার মুখে দেখি প্রীত দাঁড়িয়ে। তাড়াতাড়ি ওকে নিয়ে ওপরে যায়। চেহারা দেখে তো মনে হয় ভালই আছে। ফ্ল্যাটে ঢুকে শুরু হয় নানা কথা।
শেষে প্রীত জানায় তার আসার উদ্দেশ্য। ব্যাপারটা শুনে বুঝি প্রীত-এর ভেতরটা রয়েছে একই রকম। ওরা চারজন অফিস ছেড়ে দিয়েছে। ঐ অফিস থেকে জোগাড় করেছে আরোও দশটি ছেলে। শুরু হয়েছে আরোও চারটে মোবাইল ফিস শপ্। একটি নতূন দোকান কিনেছে। শুরু হচ্ছে একটি স্থায়ী কাউন্টার। তারই নিমন্ত্রণ নিয়ে হাজির প্রীত।
মোবাইল ফিস শপ্-এর ধার ও ভার বাড়া নিয়ে কোনও সন্দেহ রইল না আর। প্রীত জানায় জীতুয়া যোগ দেওয়ার পর থেকে ব্যাবসার অনেক শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। একে একে এসেছে সবাই। কাউকেই জোর করে আনা হয়নি। স্বেচ্ছায় শ্রম ও অর্থের জোগানে এগিয়ে চলেছে কাশী’স্।
কথার মাঝেখানেই ওকে থামায়, বলি- বিয়েটা?
এবার প্রীত লজ্জ্বা পেয়ে যায়। অনেক চাপাচাপির পর একটি মেয়ের কথা বলে, নাম- নেহা।
নামটা শুনে চোখটা একটু ছোটো হতেই প্রীত হেসে বলে- হ্যাঁ.........হ্যাঁ দাদা, যো আপ শোচ্ র্যহে হ্যায় ওহি শাচ্ হ্যায়। হামারে অফিস কি নেহা। এ সব উনহি্ কি চক্কর হ্যায়..................।
প্রীত-এর কথা আর যেন প্রায় কিছুই কানে যাচ্ছে না। শুধু মনে পড়ছে প্রথম অফিসের দিনটি। অদ্ভুত এক শিহরণ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। শেষে পরিস্কার হয় নেহা-ই জোর করে আমার সাথে কথা বলতে বলে। আর আমার উত্তর শোনার পর বলেছিল- ওহি সহি, শুরু তো কর্।
প্রীত-এর কথা ছাড়িয়ে কখন যে অফিসের প্রথম দিনে এসে পৌঁছেছি বুঝতেই পারিনি। মেজনাইন ফ্লোর-এ এডমিন্-এর অফিস। অফিসের জয়েনিং-এর সব কাগজপত্রের কাজ সেরে বসে আছি এম.ডি.’র সাথে দেখা করব বলে। চুপ করে বসে দেখছি সকলকে। বার বার চোখ যাচ্ছে পাশে বসে থাকা মেয়েটির দিকে। মাঝারি মাপের চেহারা, স্টেপকাট চুল, নীল জিনস্, ও গোলাপী ঘাঘরার মত টপটিতে লাগছে বেশ। নিজের খেয়ালে আমার ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে চলেছে। টেবিলের ঠিক ওপরেই এ.সি-এর ডাক্টটা থাকায় চুলগুলো হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি চেয়ার ঘুরিয়ে আমার দিকে ফেরে- দাদা, আপকা কোয়ালিফিকেশান্ কে সাথ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ফিট নেহি হ্যায়।
মুঁচকি হেসে বলি- কিঁউ?
পালটা হেসে, পেনটা ঠোঁটে লাগিয়ে এক গভীর দৃষ্টি নিয়ে বলে- পাতা নেহি।
চোখের সামনে হাত নাড়া দেখে হুঁস ফেরে। প্রীত বলে- পর্দার আড়ালে সেই ব্যাবসার পরামর্শদাতা।
সময় গড়িয়েছে। স্থায়ী দোকানের উদ্বোধনে গেছি। যোগাযোগগুলো আরোও বেড়েছে। বেড়েছে প্রীত-এর যাতায়াতও। একদিন অফিসে হাজির। পিক্ আপ করে নিয়ে যায় সেই পুরোনো অফিস পাড়ায়। চা-এর দোকানের সামনে বাইকটা দাড় করিয়ে বলে- এক রিকোয়েষ্ট থা।
-ক্যায়া?
-মেরে এক দোস্তকো ধান্ধা করনা হ্যায়। আপ বোল দিজিয়ে না ক্যায়া করনা হ্যায়।
আমি কিছুতেই প্রীতকে বোঝাতে পারিনা যে ওটা না ভেবে বলা কথা। খানিক প্রায় জোর করেই বন্ধুকে এনে হাজির করে আমার কাছে। সেই শুরু............
আরবসাগরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক ঝড়। পেরিয়েছে প্রায় দশ বছর। প্রীত-দের ব্যাবসা বেড়ে এখন অনেকটাই বড়। পুরো মুম্বাই জুড়ে ফিস শপ্-এর চেইন। তৈরি হয়েছে ব্র্যান্ড। নাম রয়ে গেছে সেই কাশী’স্।
আর আমার?
করতে এসেছিলাম চাকরি, প্রীত-এর বন্ধুদের সাহায্য করতে করতে কখন হয়ে গেছি বিজনেস্ কনসালটেন্ট নিজেও টের পাই নি।
Comments