সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন - ১৩
বর্ষার বিকেলে আগুন ১ |
বর্ষার বিকেলে আগুন ২ |
সকালবেলা সরকারবাবুর শিষ্য আজ কলম ধরলেন। আগে উনি লিখেছিলেন পারফেকশান-এর কথা। তাই উনি রবীন্দ্রনাথকে উনি ওপরে রেখেছেন। শিষ্য প্রয়োগসিদ্ধির কথা শিখেছিলেন উনার স্যার-এর কাছ থেকে, অর্থাৎ উইংগার্ড-এর স্যারটির কাছে। তাই বিশ্বাস করেই জীবনে এগোচ্ছেন। একজন মুচি, নাপিত, সার্জেন (ডাক্তার) ইত্যাদি সকলেই প্রয়োগসিদ্ধির কাজ অবিরত করে চলেছেন। সেটাই এপ্লিকেশানের সার্থকতা। তাই সমাজে সাধু-গুরু দের তুলনায় ইনাদের ভুমিকা সকল সময়েই বড়। তবে প্রয়োগসিদ্ধির কথা কেন উনার স্যার বলেছিলেন তার জবাব উনিই দেবেন বলে মনে হয়। উনাকে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শিষ্যকে যে অসম্মান সহ্য করতে হলো ও করতে হচ্ছে তার জবাব উনারই দেওয়া উচিত। কলকাতার বাড়িতে বসে নয়, মুম্বাইতে এসে। জায়গা নাহয় সরকারবাবুই করে দেবেন।
একটা কথা অনেকেই বোঝেননা, ইট ছোঁড়া ও মতামত রাখা দুটো আলাদা।
বাঙালী মাত্রেই জানেন আনন্দ পাবলিশার্সের কাছে কোয়ালিটি গল্পের ভাঁড়ার অনেক বেশি। হাউসটিও বড়। তেনারা স্টার-এর সাথে একটি এগ্রিমেন্ট করেছিলেন ফিকশান করবেননা, নিউজ ছাড়া। মনে হয় তাতে এনিমেশান করা আটকায় না।
ছেলের টিউশান বন্ধ করেছিলেন শিষ্য। এবার ভাবছেন স্কুলটিও বন্ধ করে দেবেন। তাতে ছেলের সাথেও যে অসম্মান হচ্ছিল তা বন্ধ হবে। ছোট্ট বাচ্চা ধরতে পারেনা কোনটা অসম্মান তাই সে মানুষের সাথে কথা বলতে চায়।
একটা কথা সকলকে জানাতে ইচ্ছে করছে - আমাদের " বন্দে মাতরম " গানটির রচয়িতা কিন্তু বলেছিলেন প্রণাম করতে-করতে (মানুষ )জাতিটার মেরুদন্ডই বেকে গেছে।
প্রমান সরকারবাবুর শিষ্যটি মুম্বাইতে বসে বেশকিছুদিন ধরেই দেখতে পাচ্ছেন।
নেটওয়ার্ক ট্যাপ করে, ফোন লাইন ট্যাপ করিয়ে চুপিচুপি তথ্য সংগ্রহ করা সাইবার ক্রাইমের মধ্যেই পড়ে। শিষ্যটিকে নীরবে সেইটিও সহ্য করতে হয়েছে ও হচ্ছে।
**** মানুষ শব্দটি শিষ্য নিজেই বসালেন।
Comments