সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন - ৫
পঞ্চম পর্ব
সরকার বাবুর বেজায় সমস্যা। ফোনের পর ফোন রিসিভ করতে হয়। একের পর এক ভোঁদু হাজির হয় আর হাজারো বায়নাক্কা শুরু হয়। সরকারবাবু ভাল মানুষ কজনকে আর না বলেন। শেষমেষ ভোঁদুকুলেদের আবদার মেনে নেন।
উনার হাতে আস্ত একটি ফ্লোর। সেখানে ভোঁদু ও তার দলবলেরা বিচরণ করেন। এই ভোঁদুদের নানান রকমফের আছে। কেউ একটু খাটো কেউবা লম্বদর কেউ সহজ কেউবা জিলিপির প্যাঁচ। ইনারা সৃষ্টিশীল ছাড়া আর যাকিছু আছে তাতেই অবস্থান করেন না। বেচারা সরকারবাবু কি আর করেন - শুধুই দেখেন চোখ বড় করে। উপায় কিছুই নাই। তার গুনপনার শেষ নাই। তিনি নিজে নিজেকে ভাবেন বড়বাবু, ভোঁদুর দলেরা ভাবেন কাজের লোক।
টিউবের কলকাঠি নাড়াচাড়া করা ছাড়া সরকারবাবুর বিশেষ একটা কাজ নাই। অবশ্য ভোঁদুর দলেরাও টিউবের কল্যানে বেঁচে থাকেন। একটি দেশি ছবি, তার একটি ভার্সান তার আবার গোটা ছয়েক ভার্সান। হাতে ক্যাপুচিনু কখনো টি-ব্যাগ আসাম-আল্গ্রে ইত্যাদি-ইত্যাদি।
এক ভোঁদুর সবে বড়বাবুর রাজত্বে পা রেখেছেন। উনার সাধ ভাল। বাবুর মতই উনি পা রাখার আগে লোকে আহ্বান জানাবেন। লোকে লিফট খুলে দাঁড়িয়ে থাকবে বাবুর মতন। তারই প্রকাশ পা রাখার আগে ভোঁদুর চাকর-বাকর দিয়ে পরের পর ফোন। সরকারবাবু আর কি করেন - চোখ ফেড়ে তাকানো ছাড়া।
ভোঁদুর একটি কাজের মেয়ে উপস্থিত, নাম রিয়া। দরজা খুলে এমন তাকান যেন স্বর্গ থেকে রম্ভা-উর্বশী নেমে এসেছেন। ধন্য বলিহারি বাবুর ভোঁদুকূল ও সরকারবাবুর রাজত্ব!
সরকারবাবুর কাজ কারবার সবই উল্টো। তাই সরকারবাবু পিছন থেকে শুরু করছেন। এতদিন শুধু ভোঁদু, বড় ভোঁদু, নাঙ্গা ভোঁদুর ইন্ট্রোডাকশান পেয়েছেন। ধীরেধীরে পাবেন - সুইটি ভোঁদু, ৩৬ ডিগ্রি ভোঁদু, গান ভোঁদু।
এছাড়াও আছে এক বিশেষ গোত্রীয় ভোঁদু। সরকারবাবু ইনাদের নাম দিয়েছেন - কেতা বাবু। ইনারাই ভোঁদুদের বড়-ভোঁদু। এদের মধ্যে আছেন এক কার্তিক। বাবরি চুল সময়-সময় পিছনে ঝাঁকান। ইনি একাধারে বাবুর কপিক্যাট আবার এক বিখ্যাত ব্যক্তির সার্কাসের অভিনেতার ফ্যান। ইনার কথা আসবে পরের সংখ্যায়। ইনারা টিউব বড় ফলো করেন।
বড় ভোঁদু শুধুই ম্যানেজ করেন বাবুর বানিজ্য, ফড়ে ভোঁদুর দল টিউব থেকে কপি মেরে "মেক ইন ইন্ডিয়া" মুভি গড়েন।
এই ম্যানেজ ভোঁদুদের পাওয়া যায় বাবুর আন্তরজাল সাইটে ফিট বাবু হয়ে। নানান গুনপনার কথা গোছানো থাকে তাতে। নিয়ম মেনে চলায় ইনাদের জুড়ি মেলা ভার। কেউ পোর্ট-ডিউটি ফাঁকি দেন আবার কেউ অন্য কিছু। সরকার বাবু এতদিন ফরজারি মামলার কথা শুনেছিলেন, এখন জেনেছেন পিডিএফ ফরজারি। এতে নাকি তথ্য বদলানো যায়। ফল ?
ঘরবাড়ির জিনিস থাকে নানান লুকোনো গোডাউনে। সরকারবাবুর সাধ্যি কি তাকে ধরেন। এছাড়াও আছে ডিউটি-ফ্রি প্রোডাকশান পেটি, ক্যামেরা পেটি আরও কত কি!
*** এই সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন এর মাধ্যমে একটা বিরক্তিকর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শুরু করলাম। এই লেখাটির অন্য নাম ভোঁদূর আত্মচরিত। ইচ্ছে আছে এই লেখাটি বেচে দেওয়ার ওয়েব সিরিজের জন্য। যে টাকা বেশি দেবে।
সরকার বাবুর বেজায় সমস্যা। ফোনের পর ফোন রিসিভ করতে হয়। একের পর এক ভোঁদু হাজির হয় আর হাজারো বায়নাক্কা শুরু হয়। সরকারবাবু ভাল মানুষ কজনকে আর না বলেন। শেষমেষ ভোঁদুকুলেদের আবদার মেনে নেন।
উনার হাতে আস্ত একটি ফ্লোর। সেখানে ভোঁদু ও তার দলবলেরা বিচরণ করেন। এই ভোঁদুদের নানান রকমফের আছে। কেউ একটু খাটো কেউবা লম্বদর কেউ সহজ কেউবা জিলিপির প্যাঁচ। ইনারা সৃষ্টিশীল ছাড়া আর যাকিছু আছে তাতেই অবস্থান করেন না। বেচারা সরকারবাবু কি আর করেন - শুধুই দেখেন চোখ বড় করে। উপায় কিছুই নাই। তার গুনপনার শেষ নাই। তিনি নিজে নিজেকে ভাবেন বড়বাবু, ভোঁদুর দলেরা ভাবেন কাজের লোক।
টিউবের কলকাঠি নাড়াচাড়া করা ছাড়া সরকারবাবুর বিশেষ একটা কাজ নাই। অবশ্য ভোঁদুর দলেরাও টিউবের কল্যানে বেঁচে থাকেন। একটি দেশি ছবি, তার একটি ভার্সান তার আবার গোটা ছয়েক ভার্সান। হাতে ক্যাপুচিনু কখনো টি-ব্যাগ আসাম-আল্গ্রে ইত্যাদি-ইত্যাদি।
এক ভোঁদুর সবে বড়বাবুর রাজত্বে পা রেখেছেন। উনার সাধ ভাল। বাবুর মতই উনি পা রাখার আগে লোকে আহ্বান জানাবেন। লোকে লিফট খুলে দাঁড়িয়ে থাকবে বাবুর মতন। তারই প্রকাশ পা রাখার আগে ভোঁদুর চাকর-বাকর দিয়ে পরের পর ফোন। সরকারবাবু আর কি করেন - চোখ ফেড়ে তাকানো ছাড়া।
ভোঁদুর একটি কাজের মেয়ে উপস্থিত, নাম রিয়া। দরজা খুলে এমন তাকান যেন স্বর্গ থেকে রম্ভা-উর্বশী নেমে এসেছেন। ধন্য বলিহারি বাবুর ভোঁদুকূল ও সরকারবাবুর রাজত্ব!
সরকারবাবুর কাজ কারবার সবই উল্টো। তাই সরকারবাবু পিছন থেকে শুরু করছেন। এতদিন শুধু ভোঁদু, বড় ভোঁদু, নাঙ্গা ভোঁদুর ইন্ট্রোডাকশান পেয়েছেন। ধীরেধীরে পাবেন - সুইটি ভোঁদু, ৩৬ ডিগ্রি ভোঁদু, গান ভোঁদু।
এছাড়াও আছে এক বিশেষ গোত্রীয় ভোঁদু। সরকারবাবু ইনাদের নাম দিয়েছেন - কেতা বাবু। ইনারাই ভোঁদুদের বড়-ভোঁদু। এদের মধ্যে আছেন এক কার্তিক। বাবরি চুল সময়-সময় পিছনে ঝাঁকান। ইনি একাধারে বাবুর কপিক্যাট আবার এক বিখ্যাত ব্যক্তির সার্কাসের অভিনেতার ফ্যান। ইনার কথা আসবে পরের সংখ্যায়। ইনারা টিউব বড় ফলো করেন।
বড় ভোঁদু শুধুই ম্যানেজ করেন বাবুর বানিজ্য, ফড়ে ভোঁদুর দল টিউব থেকে কপি মেরে "মেক ইন ইন্ডিয়া" মুভি গড়েন।
এই ম্যানেজ ভোঁদুদের পাওয়া যায় বাবুর আন্তরজাল সাইটে ফিট বাবু হয়ে। নানান গুনপনার কথা গোছানো থাকে তাতে। নিয়ম মেনে চলায় ইনাদের জুড়ি মেলা ভার। কেউ পোর্ট-ডিউটি ফাঁকি দেন আবার কেউ অন্য কিছু। সরকার বাবু এতদিন ফরজারি মামলার কথা শুনেছিলেন, এখন জেনেছেন পিডিএফ ফরজারি। এতে নাকি তথ্য বদলানো যায়। ফল ?
ঘরবাড়ির জিনিস থাকে নানান লুকোনো গোডাউনে। সরকারবাবুর সাধ্যি কি তাকে ধরেন। এছাড়াও আছে ডিউটি-ফ্রি প্রোডাকশান পেটি, ক্যামেরা পেটি আরও কত কি!
*** এই সাথে থাকবেন, নইলে পিছিয়ে পড়বেন এর মাধ্যমে একটা বিরক্তিকর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শুরু করলাম। এই লেখাটির অন্য নাম ভোঁদূর আত্মচরিত। ইচ্ছে আছে এই লেখাটি বেচে দেওয়ার ওয়েব সিরিজের জন্য। যে টাকা বেশি দেবে।
Comments