ফেসবুক, প্রিভেসি ও আমরা
ফেসবুকের লিঙ্ক দেখে নতুন কোনোও সাইট বা নতুন কোনোও গান শোনা হামেশাই ঘটে। এবং সকলের মত আমিও একই পথের পথিক। সিনেমা মাধ্যম নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা করার ফলে নিজেকে পন্ডিত অনেক ভেবেছি। এখনোও বহুলভাবে না থাকলেও আছে। খুবই সংযত রুপে। হয়ত একটু আঁচড় পড়লেই বেরিয়ে পড়বে ঝোলা থেকে বেড়াল। অহংকারের বেড়াল!
আজ বন্ধুর অনুরোধে একটি লিঙ্কে গিয়ে ইউটিউবে গান শুনলাম। আলম্গীরের গান। কোক স্টুডিও। বছরের শেষ দিন বেশ ভাল লাগল। দিনের শুরুটা ভালই। থেকে-থেকে একটাই কথা বারবার মনে আসছে-- সৃষ্টিশীলতার সাথে বাধা, নিয়ম, সংযম, শৃংখল এই শব্দগুলো আস্টেপৃষ্টে জড়ামড়ি করে আছে। বোধহয় এগুলোয় ফোকাস্ড থাকতে সাহায্য করে। শোনা কথা, স্টার্ভেশন-এ মানুষ ভাল কাজ করে। মনে হয় শুধু তাই নয়, যেকোনোও থেমে থাকা সমাজে সৃষ্টিশীলতার বীজ বেশি গভীর হয়। ইতিহাস তার সাক্ষী। ইরানিয়ান ফিল্ম তার প্রমান। এ গভীরতা ব্যাথার, বেদনার, যন্ত্রনার। অ-বলাকে বলার।
মাঝেমাঝে মনে হয় ফেসবুক বোধহয় না থাকলেই ভাল ছিল। মোবাইল না থাকলেও তাই। প্রায়ই দেখি সামান্য কোনোও বিষয়ও আমরা পোস্ট করার জন্য ছটপট করি। আমাদের স্থিরতার অভাব। সামান্য কিছু ঘটনাকেই আমরা পোস্ট করার জন্য ছটপট করি। ধরে রাখতে পারিনা। আমিও তার বাইরে নই। এর দুটি দিক আছে-
সৃষ্টিশীল মানুষ তার জীবনের কনফ্লিক্টগুলোকে বদলে আর পজিটিভ আউট্পুট দেওয়ার জায়গায় থাকবেনা, অথবা সাধারন মানুষ প্রতিবাদ জানাবার ভাষা একসময় হারিয়ে ফেলবে। কারন একান্ত ব্যাক্তিগত কিছু পোস্ট করার বাসনা নিজের শক্তি ক্রমাগত কমিয়ে আনবে।
শুধু তাই নই আমরা প্রিভেসিও নিজেদের নষ্ট করেছি। মোবাইলে নেট ব্যাবহারের সাথেসাথে "লোকেসান আইডেন্টিটি" সার্ভিস প্রোভাইডারের হাতে। তার নেটওয়ার্কের নাগালে প্যান কার্ড নাম্বার, ব্যাঙ্ক ডিটেইল, প্রিয় বিষয়, প্রিয় বন্ধু... এমনকি নতুন কোনোও গার্লফ্রেন্ড হলে তার খবরও মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের অজানা নয়। এ-এক গ্লোবাল মেট্রিক্স-এর জাল আন্তরজালের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়েছে।
টেকনোলজির সাইড-এফেক্ট। নিজেদের মধ্যে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা। মুষ্টিমেয় গোনাগুনতি প্রাগ -ঐতিহাসিক কিছু মানুষ এখনোও বর্তমান যিনি মোবাইল ব্যাবহার করেন না, মেইল আই ডি নেই, হেঁটে চলাফেরা করেন। ই-বুক পড়েননা। তারা সমাজের নিচু স্তরের মানুষ নন, শিক্ষা-দীক্ষায় কোনোও অংশে কম নন আমাদের থেকে, বরং বেশি হতে পারে। তারা ভাল আছেন, নিজের মত নিজের তালে। যদিও সময় কোনোও মুহূর্তে চুরি করে তাকেও নাগালের মধ্যে নিয়ে আসবে।
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে। মোবাইলে ছবি তোলা, গান শোনা এখন জলভাত। বয়স্ক মানুষেরাও আজ এর সুফল ভোগ করে। টেকনোলজি তার অ্যাপ্লিকেশান্কে ছোট-ছোট দৈনিক জীবনে বেঁধে ফেলেছে। সুফল-- মানুষ জটিলতার মাঝ থেকে ক্রিয়েটিভ ইন্স্পিরেশান ও অ্যাপ্লিকেশান্ খুঁজে পাবে। ভেতরের ছটপটানি, খাপ্ছাড়া ভাব, পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া, গায়ে গা লাগিয়ে ঝগড়া নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবে। একটি ছবি তুলে এডিট করে আপলোড করায় শক্তির বিনাশ অবশ্যই আছে। এই বিনাশের সুফল আজকের মুহুর্তে বেশিই। তাই প্রিভেসি ক্রমাগত হারালেও সার্বিক ফল সমাজের ও নিজেদের কারনে ভালই।
আজ বন্ধুর অনুরোধে একটি লিঙ্কে গিয়ে ইউটিউবে গান শুনলাম। আলম্গীরের গান। কোক স্টুডিও। বছরের শেষ দিন বেশ ভাল লাগল। দিনের শুরুটা ভালই। থেকে-থেকে একটাই কথা বারবার মনে আসছে-- সৃষ্টিশীলতার সাথে বাধা, নিয়ম, সংযম, শৃংখল এই শব্দগুলো আস্টেপৃষ্টে জড়ামড়ি করে আছে। বোধহয় এগুলোয় ফোকাস্ড থাকতে সাহায্য করে। শোনা কথা, স্টার্ভেশন-এ মানুষ ভাল কাজ করে। মনে হয় শুধু তাই নয়, যেকোনোও থেমে থাকা সমাজে সৃষ্টিশীলতার বীজ বেশি গভীর হয়। ইতিহাস তার সাক্ষী। ইরানিয়ান ফিল্ম তার প্রমান। এ গভীরতা ব্যাথার, বেদনার, যন্ত্রনার। অ-বলাকে বলার।
মাঝেমাঝে মনে হয় ফেসবুক বোধহয় না থাকলেই ভাল ছিল। মোবাইল না থাকলেও তাই। প্রায়ই দেখি সামান্য কোনোও বিষয়ও আমরা পোস্ট করার জন্য ছটপট করি। আমাদের স্থিরতার অভাব। সামান্য কিছু ঘটনাকেই আমরা পোস্ট করার জন্য ছটপট করি। ধরে রাখতে পারিনা। আমিও তার বাইরে নই। এর দুটি দিক আছে-
সৃষ্টিশীল মানুষ তার জীবনের কনফ্লিক্টগুলোকে বদলে আর পজিটিভ আউট্পুট দেওয়ার জায়গায় থাকবেনা, অথবা সাধারন মানুষ প্রতিবাদ জানাবার ভাষা একসময় হারিয়ে ফেলবে। কারন একান্ত ব্যাক্তিগত কিছু পোস্ট করার বাসনা নিজের শক্তি ক্রমাগত কমিয়ে আনবে।
শুধু তাই নই আমরা প্রিভেসিও নিজেদের নষ্ট করেছি। মোবাইলে নেট ব্যাবহারের সাথেসাথে "লোকেসান আইডেন্টিটি" সার্ভিস প্রোভাইডারের হাতে। তার নেটওয়ার্কের নাগালে প্যান কার্ড নাম্বার, ব্যাঙ্ক ডিটেইল, প্রিয় বিষয়, প্রিয় বন্ধু... এমনকি নতুন কোনোও গার্লফ্রেন্ড হলে তার খবরও মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের অজানা নয়। এ-এক গ্লোবাল মেট্রিক্স-এর জাল আন্তরজালের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ছড়িয়েছে।
টেকনোলজির সাইড-এফেক্ট। নিজেদের মধ্যে থাকার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা। মুষ্টিমেয় গোনাগুনতি প্রাগ -ঐতিহাসিক কিছু মানুষ এখনোও বর্তমান যিনি মোবাইল ব্যাবহার করেন না, মেইল আই ডি নেই, হেঁটে চলাফেরা করেন। ই-বুক পড়েননা। তারা সমাজের নিচু স্তরের মানুষ নন, শিক্ষা-দীক্ষায় কোনোও অংশে কম নন আমাদের থেকে, বরং বেশি হতে পারে। তারা ভাল আছেন, নিজের মত নিজের তালে। যদিও সময় কোনোও মুহূর্তে চুরি করে তাকেও নাগালের মধ্যে নিয়ে আসবে।
এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে। মোবাইলে ছবি তোলা, গান শোনা এখন জলভাত। বয়স্ক মানুষেরাও আজ এর সুফল ভোগ করে। টেকনোলজি তার অ্যাপ্লিকেশান্কে ছোট-ছোট দৈনিক জীবনে বেঁধে ফেলেছে। সুফল-- মানুষ জটিলতার মাঝ থেকে ক্রিয়েটিভ ইন্স্পিরেশান ও অ্যাপ্লিকেশান্ খুঁজে পাবে। ভেতরের ছটপটানি, খাপ্ছাড়া ভাব, পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া, গায়ে গা লাগিয়ে ঝগড়া নিজের অজান্তেই হারিয়ে যাবে। একটি ছবি তুলে এডিট করে আপলোড করায় শক্তির বিনাশ অবশ্যই আছে। এই বিনাশের সুফল আজকের মুহুর্তে বেশিই। তাই প্রিভেসি ক্রমাগত হারালেও সার্বিক ফল সমাজের ও নিজেদের কারনে ভালই।
Comments